নরেন্দ্র মোদীর খাসতালুক গুজরাতে আম আদমি পার্টির জমি পাওয়া যে বেশ কঠিন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু শনিবার আমদাবাদে অরবিন্দ কেজরীবালের পথসভাকে কেন্দ্র করে ফের গণ্ডগোলের পর সে কথাই আরও এক বার স্পষ্ট হল।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে অরবিন্দ কেজরীবালের পথযাত্রার কারণে ব্যাপক যানজট শুরু হয় আমদাবাদের রাস্তায়। আপের বিশাল মোটরবাইক বাহিনী ছেঁটে ছোট করে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছু ক্ষণ এ নিয়ে কথা কাটাকাটির পর বেশ কয়েকটি মোটরবাইক বাদ দিতে রাজি হন কেজরীবাল। মিনিট দশেক পরে ফের শুরু হয় পথযাত্রা।
অরবিন্দ কেজরীবাল এ দিন অভিযোগ করেছেন, শনিবার তাঁর পথযাত্রাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। আপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে মঞ্চেও উঠে পড়ে কিছু লোক। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে গুজরাত পুলিশ।
কেজরীবাল বলেন, “গত তিন দিনে আমাদের উপর এই নিয়ে চার বার হামলা হল।” বুধবারই ভুজে প্রচারে যাওয়ার সময় কেজরীবালকে আটক করেছিল গুজরাত প্রশাসন। ঘটনার জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে আপ ও বিজেপি।
ঘটনায় অবশ্য মোটেই দমে যাননি কেজরীবাল। বরং আরও বেশি করে আক্রমণ করেছেন নরেন্দ্র মোদীকে। শুক্রবার মোদীর সঙ্গে দেখা করারও পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও প্রশাসনের তরফে আটকে দেওয়া হয় কেজরীবালকে।
তিনি অবশ্য জোর গলায় প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন, “মোদী দশ বছরেও যা করতে পারেননি, আপ সরকার মাত্র ৪৯ দিনে তা করে দেখিয়েছে।” শনিবার সকালে নতুন উদ্যমে ঘুরে দেখেছেন গাঁধীর সাবরমতী আশ্রম। বলেছেন, “এখানে পা রাখলেই শান্তিতে ভরে ওঠে মন। এই কঠিন সময়ে গাঁধীর সত্যবাদিতা আর অহিংসার পথই অনুসরণ করতে হবে আমাদের।”
বিতর্ক অবশ্য বাড়ছেই। গুজরাত পুলিশের বক্তব্য, নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙছেন কেজরীবাল। সমস্ত পথযাত্রার বিষয়ে পুলিশের কাছে সম্মতি নেওয়ার দরকার ছিল আপের। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নেননি আপ নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy