সংখ্যার জোর নেই রাজ্যসভায়। অথচ পাশ করাতে হবে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিল। জমি ও বিমা বিল যেগুলির অন্যতম। এই অবস্থায় বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করেই পথের কাঁটা দূর করার চেষ্টা চালাতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে।
বিতর্কিত অর্ডিন্যান্সগুলির একটিও রাজ্যসভায় পাশ হতে দেবেন না, স্থির করে রেখেছেন বিরোধীরা। তার মধ্যেই আজ প্রথম একটি বিল পাশ করাতে সক্ষম হয়েছে সরকার। লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়েছে মোটর ভেহিকেলস আইন সংশোধনের বিল। এতেই কিছুটা উৎসাহ বেড়েছে সরকারের। আপাতত আলোচনার পথেই এক একটি বিল পাশ করানোর পথ বার করার কৌশল নিয়ে চলবে সরকার।
কিন্তু বিরোধীরা কী নরম হবে? রাজ্যসভায় বিস্তর বিতর্কের পরেও কয়লা ও খনি সংক্রান্ত বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে বাধ্য করেছে তাঁরা। কেন্দ্রের এক মন্ত্রী অবশ্য বলছেন, বিলগুলিতে বিরোধীদের তেমন আপত্তি নেই। কিন্তু নিছক বিরোধিতার করার জন্যই বিষয়টিকে তাঁরা এত উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়েছিলেন যে দু’টি বিলে সিলেক্ট কমিটি গঠন করা ছাড়া উপায় ছিল না। বিরোধীদের মুখরক্ষা করতেই এটা করা হয়েছে। তবে চলতি অধিবেশনেই যাতে বিলগুলি পাশ করানো যায় তার জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে সিলেক্ট কমিটিকে।
বিরোধীরা সময় বাড়ানোর দাবি জানালে সরকার কী করবে?
এক মন্ত্রীর মতে, রাজ্যসভায় বিজেপি সংখ্যালঘু হলেও দুটি কমিটির চেয়ারম্যানই বিজেপির। কমিটিতে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই শেষ কথা। তা ছাড়া ওই বিলগুলি পাশ হলে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির লাভ। তারা টাকা পাবে। যে কারণে খনি বিল নিয়ে সুর নরম করেছে তৃণমূল।
সরকার এখন বিরোধীদের প্রস্তাব দিয়েছে, কয়লা ও খনি বিল সিলেক্ট কমিটি হয়ে রাজ্যসভায় ফেরত আসতে এক সপ্তাহ বাকি। এই সময়ের মধ্যে জমি ও বিমা বিলে সমর্থন করুক তারা। সরকার মনে করছে, এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বিমা বিল রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যেতে পারে। বামেরা ছাড়া কোনও দলেরই কট্টর বিরোধিতা নেই। কংগ্রেস আমলেই ওই বিল আনা হয়েছিল। তাদেরও বিশেষ আপত্তি থাকার কথা নয়।
তবে সমস্যা হবে জমি বিল নিয়ে। জমি বিলের বিরোধিতা আরও তীব্র করছে তৃণমূল। জেডি(ইউ)-কে সঙ্গে নিয়ে তারা সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। সিপিএম-সহ বাকি বিরোধীদেরও তাতে সামিল করার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy