কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের কুশপুতুল পোড়াচ্ছেন জেএমএম-এর সমর্থকেরা। জামশেদপুরে পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
মুখ্যমন্ত্রীকে ‘অপমানে’র প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ তুললেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) কর্মীরা। দু’দলের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাঁচির হিনু চক। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে আহত হন কয়েক জন পুলিশকর্মীও।
সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ সকালে ঝাড়খণ্ডে আসেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর এবং প্রতিমন্ত্রী বিষ্ণুদেব সাই। রাঁচির বিরসা মুণ্ডা বিমানবন্দর থেকেই বাইক মিছিল করে মন্ত্রীদের সঙ্গ নেয় বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। হিনু চকের কাছে জেএমএম-এর সমর্থকেরা মিছিলকে কালো পতাকা দেখাতেই বিপত্তি বাধে। অভিযোগ, ক্ষুব্ধ বিজেপি সমর্থকেরা পতাকার লাঠি খুলে বেধড়ক মারধর করেন প্রতিবাদকারীদের। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। সংঘর্ষে স্থানীয় জগন্নাথপুর থানার কয়েক জন আধিকারিক আহত হন।
গত বৃহস্পতিবার রাঁচির একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একমঞ্চে বক্তব্য রেখেছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তবে ‘মোদী! মোদী!’ চিৎকারে বক্তব্য শেষ করতে পারেননি হেমন্ত। এর প্রতিবাদে মোদীর মন্ত্রিসভার মন্ত্রীকে ঝাড়খণ্ডে গণতান্ত্রিক উপায়ে হেনস্থার হুমকিও দিয়েছিল জেএমএম। সেই মতো আজ মন্ত্রীদের কালো পতাকা দেখানো হয়। তবে পাল্টা মারের প্রতিবাদে আজ ক্ষুব্ধ জেএমএম সমর্থকেরা হিনুর রাস্তা অবরোধ করে। ভাঙচুর করা হয় পথচলতি গাড়ির কাচও। শ্রমমন্ত্রী জামশেদপুরের একটি অনুষ্ঠানে পৌঁছলে সেখানেও তাঁদের কালো পতাকা দেখায় জেএমএম-এর কর্মী-সমর্থকেরা। পোড়ানো হয় কুশপুতুলও। যদিও পুলিশি তৎপরতায় সেখানে আজ কোনও গোলমাল হয়নি।
জেএমএম-এর মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে বিরোধিতা করেছি। কিন্তু বিজেপি হিংসার পথ নিল। এর সঙ্গে মোকাবিলার উপায় আমাদের জানা আছে।” জেএমএম-এর কর্মী সমর্থকদের মারধরের প্রতিবাদে রবিবার রাঁচিতে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাকও দিয়েছিল জেএমএম। পরে অবশ্য বন্ধ প্রত্যাহার করা হয়।
ঘটনার পরে পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র প্রদীপ সিংহ বলেন, “আমরাও মারপিটের বিরোধী। প্রধানমন্ত্রী এ রাজ্যের উন্নতির জন্য চারশো কোটি টাকা দিয়েছেন। জেএমএম-এর কোনও কর্মসূচি নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে রাজনীতি করছে।”
রাঁচির পুলিশ সুপার অনুপ বিথরে (সদর) জানান, দু’পক্ষেরই কয়েক জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy