কালো টাকা উদ্ধার নিয়ে এক সময়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন তিনি। ভোট প্রচারে কালো টাকার ব্যবহার নিয়ে সেই রামদেবের বিরুদ্ধেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করল কংগ্রেস। ইদানিং বিজেপির হয়ে খোলাখুলি প্রচারে নামায় কংগ্রেস এখন তাঁকে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদীকেও বিঁধতে ছাড়ছে না।
ঘটনাটা কী? রামদেব কাল রাজস্থানের আলওয়ারে বিজেপি প্রার্থী মহন্ত চাঁদনাথের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন। সাংবাদিক বৈঠক শুরু র আগে মঞ্চে বসে চাঁদনাথ কানের কাছে মুখ এনে রামদেবকে বলেন, “হাওয়া তো ভালই রয়েছে। কিন্তু টাকা তুলতে গিয়ে মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।” রামদেব তাঁকে বলেন, “এখানে এ সব কথা বলিস না, মাইক চালু রয়েছে। তুই বুদ্ধু নাকি?” মহন্তকে এর পর রামদেব বলেন, “এ সব করতে গিয়ে তুই তো এক বার ধরাও পড়েছিলি, তাই না!” সব কথাই রেকর্ড হয়ে যায় টিভি ক্যামেরায়। চ্যানেলগুলিতে তা দেখানো শুরু করতেই গোর অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। নয়া অস্ত্র পেয়েছে কংগ্রেস। রামদেবের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পর কপিল সিব্বল আজ বলেন, “এর পরেও কি আলওয়ারে বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন খারিজ করবে না কমিশন!”
কপিলের বক্তব্য, বিজেপি মুখে কালো টাকার বিরুদ্ধে প্রচার করে। ভেতরে ভেতরে কারবার করে সেই কালো টাকারই। কপিল বলেন, “এই কারণেই এখন রামদেব আর নরেন্দ্র মোদীর এত দহরম মহরম। মোদী প্রচারে বলছেন, উনি নাকি কালো টাকা উদ্ধার করবেন! অথচ মোদীর রাজ্য গুজরাতে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেআইনি কারবার হয়, যার সবটাই কালো।”
বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ এ প্রসঙ্গে বলেন, “কৈফিয়ত যা দেওয়ার, রামদেবই দেবেন।” রামদেব অবশ্য হেসেই বেমালুম উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযোগ। তাঁর কথায়, “সাদা বা কালো কোনও টাকা নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রচার কেমন চলছে, তারই খবর নিচ্ছিলাম।” টিভির ফুটেজ অবশ্য সে কথা বলছে না। নির্বাচন কমিশনের তরফে এ দিন বলা হয়েছে, রামদেব ও মহন্ত চাঁদনাথ সম্পর্কে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy