স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর এবার রেলমন্ত্রী। ছেলের কারণে রাজনাথ সিংহের মতোই অস্বস্তিতে পড়লেন সদানন্দ গৌড়াও।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের ছেলে পঙ্কজের বিরুদ্ধে বাবার পদকে কাজে লাগিয়ে আমলাদের পছন্দসই বদলির অভিযোগ উঠেছিল। আর সদানন্দের ছেলে কার্তিকের বিরুদ্ধে বিয়ের নাম করে প্রতারণার অভিযোগ তুললেন কর্নাটকের এক মডেল তথা উঠতি অভিনেত্রী।
গতকাল অন্য এক মহিলার সঙ্গে বাগ্দান হয় কার্তিকের। ঘটনাচক্রে তারপরেই সরব হন ওই উঠতি অভিনেত্রী। পুলিশের কাছে অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও কার্তিক অন্য এক মহিলার সঙ্গে বাগ্দান করেছেন। আইনত কার্তিক তা করতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই অভিনেত্রী। কার্তিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। সদানন্দ গৌড়ার দাবি, “আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।” আজ ওই ঘটনার প্রতিবাদে বেঙ্গালুরুতে রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সে রাজ্যের যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেস নেতা রশিদ অলভির বক্তব্য, “গোটা দেশ দেখছে বিজেপির মন্ত্রীরা কী করছেন। পরিবারের ভিতরে এমন ঘটনা ঘটলে দেশের মহিলাদের প্রতি এদের মনোভাব কী তা বোঝাই যাচ্ছে।”
গতকাল কর্নাটকের কোডাগু জেলার কুশলনগরে এক শিল্পপতির মেয়ের সঙ্গে বাগ্দান হয় সদানন্দের ছেলে কার্তিকের। তারপরেই বিতর্কের সূত্রপাত। রাতে আর টি নগর থানায় ওই অভিনেত্রী অভিযোগ দায়ের করে জানান, কার্তিক তাঁর স্বামী। তাঁর সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সহবাস করেছেন সদানন্দ-পুত্র।
অভিনেত্রীর দাবি, গত ৮ মে প্রথম কার্তিকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। দ্রুত সেই আলাপ ঘনিষ্ঠতায় পৌঁছয়। গত ৫ জুন কার্তিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কার্তিকের পরিবারের লোকেরা সেই বিয়েতে অনুপস্থিত ছিলেন। একমাত্র সাক্ষী ছিলেন কার্তিকের গাড়ির চালক। অভিনেত্রীর
আরও অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যাতে তাঁকে মেনে নেন সে জন্য কার্তিক তাঁর বাবা-মা’র সঙ্গে কথা বলবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন।
অস্বস্তিতে পড়লেও বিজেপি জানিয়েছে, আইন আইনের পথেই চলবে। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার এন আর রেড্ডির বক্তব্য, “কার্তিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।” সে রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মঞ্জুলা মানসা বলেছেন, “ওই অভিনেত্রীর বোন আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমি সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলব। যথাযথ তদন্তের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
সদানন্দ-পুত্রের বক্তব্য, “বিষয়টি আদৌ এমন নয়। আমার বাবা একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁর সম্মানহানি হতে পারে এমন কোনও কাজ আমি কেন করব?”