উপজাতি না অনুপজাতি এই বিভাজন ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ঝাড়খণ্ড বিজেপির অন্দরে। ফলে রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম প্রাক্-নির্বাচনী কোনও জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তা নিয়ে স্বস্তিতে নেই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই বিজেপির নব-নির্বাচিত উপজাতি বিধায়কদের একটা বড় অংশ পরাজিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, তাঁকে ফের কোনও কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানোর ব্যবস্থা করুক দল। কেউ কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে মুন্ডার জন্য নিজের কেন্দ্র ছেড়ে দিতেও রাজি! সব মিলিয়ে মুন্ডাকে ঘিরে রাজ্য বিজেপিতে নয়া সমীকরণের ছায়া দেখছেন অনেকেই।
‘খাসতালুক’ খরসোয়াঁয় অর্জুনের হার একাধিক অনুপজাতি নেতাকেও মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে এনে দিয়েছে। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতারা এখনও বেশ সংশয়ে। আজ দিল্লিতে এ নিয়ে বৈঠকে বসে সংসদীয় বোর্ড। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের উপস্থিতিতে ঠিক হয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাঁচি যাবেন দু’জন পর্যবেক্ষক জে পি নাড্ডা এবং বিনয় সহস্রবুদ্ধে। শুক্রবার রাঁচিতে দলের বিধায়কদের সঙ্গে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগেই রাজ্য নেতাদের একটি অংশ বলতে শুরু করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ রঘুবর দাসের নাম এক রকম চূড়ান্তই করে ফেলেছেন দিল্লির নেতারা। রাজ্য বিজেপিতে মুন্ডার বিপরীত মেরুর নেতা রঘুবর। তিনি নিজেই আজ বিকেলে রাঁচির জেল মোড়ে মুন্ডার বাড়িতে যান। দলীয় সূত্রের খবর, মুন্ডার সাহায্য চাইতেই গিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রঘুবরের নাম ঘিরে জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে।