এক দিনের ব্যবধানে আজ, রবিবার ফের মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। যদিও শনিবার রাত পর্যন্ত ক্যাবিনেট সচিবালয়ের তরফে মন্ত্রীদের কাছে বৈঠকের আলোচ্যসূচি পাঠানো হয়নি। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, ভোটের আগে কংগ্রেসের রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষার অঙ্ক মেনে কাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
কী সেই অঙ্ক? সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দুর্নীতি মোকাবিলায় যে বিলগুলি নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করার দাবি জানাচ্ছিলেন রাহুল গাঁধী, কাল সেই সংক্রান্ত প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের ব্যাপারে রাত পর্যন্ত চেষ্টা চলছে। সেবি আইন সংশোধন বিলটি অর্ডিন্যান্স হিসেবে জারি করার চেষ্টাও চলছে। সেই সঙ্গে রাজ্যভাগের পর এ বার অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাবেও কাল সায় দিতে পারে মন্ত্রিসভা।
আগামী কালের বৈঠকে অবশ্য দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত বকেয়া চারটি বিলের দিকেই নজর থাকবে সব মহলের। সরকার তথা কংগ্রেসের মাথাব্যথাও এখন ওই চারটি বিল। এগুলিকে অর্ডিন্যান্স হিসেবে জারি করার জন্য অনেক দিন ধরেই দাবি জানাচ্ছেন রাহুল। কেন না কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগই লোকসভা ভোটে বিরোধীদের প্রধান হাতিয়ার। সূত্রের খবর, অর্ডিন্যান্স জারির প্রস্তাব মন্ত্রিসভার গত কালের বৈঠকেও তোলা হয়েছিল। কিন্তু আপত্তি তোলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বল। তাঁকে সমর্থন করেন কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ার। নীতিগত ভাবে প্রধানমন্ত্রীও এর পক্ষে নন। সরকারের এই শীর্ষ নেতাদের যুক্তি, এই বিলগুলি নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করার মতো জরুরি অবস্থা দেশে তৈরি হয়নি। তা ছাড়া কংগ্রেসের অধিকাংশ বর্ষীয়ান নেতা মনে করেন, জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া যে কোনও বিল সংসদে আলোচনার মাধ্যমে পাশ হওয়াই বাঞ্ছনীয়।