দুই অরবিন্দ বলছেন, রাজকোষ ঘাটতির কথা না ভেবে পরিকাঠামোয় খরচ হোক। তাতেই অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বলছেন, পরিকাঠামোয় খরচ হবে। কিন্তু ঘাটতিতে লাগাম দিতেই হবে। সেই সঙ্গে কমানো হবে ভর্তুকির বহর। এমনকী কেন্দ্র যে খাদ্য ও সারেও ভর্তুকি কমাতে চাইছে, আজ তারও ইঙ্গিত মিলেছে।
দুই অরবিন্দ অর্থাৎ অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম এবং অরবিন্দ পানাগাড়িয়া। প্রথম জন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। দ্বিতীয় জন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৈরি নীতি আয়োগের ভাইস-চেয়ারম্যান। দু’জনেরই বক্তব্য, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আপাতত শিকেয় তোলা থাক আর্থিক শৃঙ্খলা। বাজেটের আগে বেশ কয়েকটি রাজ্যও দাবি তুলেছে, তাদেরও ইচ্ছে মতো ব্যয় করতে দেওয়া হোক। কিন্তু জেটলি আজ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ও-পথে হাঁটবেন না। এ বছর ৪.১ শতাংশের ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করাই অর্থ মন্ত্রকের কাছে যথেষ্ট কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেটলির বক্তব্য, এতখানি ঘাটতি মেনে নেওয়া যায় না। রাজকোষ ঘাটতিকে ধাপে ধাপে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার দিকে লক্ষ্য রেখেই তিনি বাজেট তৈরি করবেন।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ হবে। আজ সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম’-এ জেটলির বক্তব্যে বাজেট সম্পর্কে তিনটি ইঙ্গিত মিলেছে। এক, যাঁদের একান্ত প্রয়োজন, শুধু তাঁদেরই ভর্তুকি দেওয়া হবে। গরিব মানুষের জন্য ভর্তুকি একেবারে তুলে দেওয়া হবে না। দুই, বাজেটে বিশেষ কোনও ছাড় দেওয়া সম্ভব বলে অর্থমন্ত্রী মনে করছেন না। তিন, কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোনও আগ্রাসী মনোভাব তিনি নিতে চান না।