অতীতে যা ছিল সব ভাল ছিল, আর দিনদিন সব খারাপ হয়ে যাচ্ছে, কথাটা ইদানীং খুব শোনা যায়। ভবিষ্যত নিয়ে উৎকণ্ঠা আর আশংকা! এই ব্যাপারটা চিরন্তনী। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই রকম ভাবতেই মানুষ অভ্যস্ত। বাবারা যখন তরুণ ছিলেন ঠাকুর্দারা তখন একই রকম শঙ্কিত হতেন। বর্তমানে যাঁরা তরুণ তারাও প্রৌঢ় হয়ে একই রকম ভাববেন। এটাই স্বাভাবিক। এ বারে যদি ভাবা যায়, অতীতে যা ছিল তাই ফিরিয়ে আনা হোক, তাহলে হাঁটতে হবে পিছন দিকে। এ মস্ত সমস্যা। সভ্যতা, সংস্কৃতি পিছনে হাঁটলে মহাপ্রমাদ।
বিষয়টা বড়ই গোলমেলে এবং জটিল। এই রকমই একটা হাল্কা ভাবনা মাথায় নিয়ে ঘরে ফিরলাম সেদিন। গিয়েছিলাম শিলচরের রাজীব ওপেন ইনস্টিটিউট-এর একটি অনুষ্ঠানে। কন্যাসমা সোমাভা বিশ্বাস-এর লেখা ‘খেয়ালী খাতা’র আনুষ্ঠানিক প্রকাশ।
এমন অনুষ্ঠান আমাদের এই শহরে আজকাল প্রায়ই হয়। এরকম অনুষ্ঠানের কার্যসূচিও অলিখিত ভাবে একটা স্বীকৃত প্রথা হয়ে গিয়েছে। কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি মঞ্চে শোভা পাবেন, কিছু প্রাসঙ্গিক কথা বলবেন। সুরেলা কোনও তরুণী সঞ্চালনা করবেন। একটা-দুটো গান-নাচ হবে। লেখক বা লেখিকা তাঁর কথাগুলো যথেষ্ট বিনয়ে গুছিয়ে বলবেন। এই অনুষ্ঠানেও সুন্দর নাচ-গান-কথা সবই ছিল। নতুন বিষয় ছিল, তরুণ প্রজন্মের চারজনকে নিয়ে সঞ্জীব দেবলস্করের আলাপচারিতা। চার তরুণের মধ্যে শাশ্বত দেবলস্কর আইনের স্নাতক হয়ে সদ্য আইনজীবী। মনস্বী চক্রবর্তী গুরুচরণ কলেজে স্নাতকস্তরে বিজ্ঞানের ছাত্র। অভিরাজ পাল শিলচর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্র। আর রাজেশ্বরী দে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পাঠরতা।