লালু প্রসাদের সঙ্গে বোঝাপড়া চলাকালীনই নীতীশ কুমারের সঙ্গে সমঝোতার দরজা খুলে দিল কংগ্রেস। দলের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, রামবিলাস পাসোয়ান বিজেপি-র হাত ধরার পর এখন লালু-নীতীশ দুই বিকল্পই খতিয়ে দেখছে কংগ্রেস। তবে কোনওটাই এখনও চূড়ান্ত নয়।
সে দিক থেকে আজ জল্পনা উস্কে দিয়েছে আরও একটি ঘটনা। তা হল, লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে বুধবার ফের মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। প্রধানমন্ত্রী আজ মায়ানমার সফরে গিয়েছেন। ফিরবেন আগামিকাল রাতে। কংগ্রেস ও সরকারি সূত্রে খবর, নীতীশ কুমারের সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হলে মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকে বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দিতে পারে সরকার। কেন না, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে নীতীশের একটাই শর্ত পিছিয়ে পড়া রাজ্য হিসেবে বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দিতে হবে। সে দিক থেকে সরকার এক প্রস্ত জমি তৈরি করেই রেখেছে। সম্প্রতি অনগ্রসরতার সূচকের নতুন মাপকাঠি স্থির করে বিহারকে অন্যতম পিছিয়ে পড়া রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে রঘুরাম রাজন কমিটি।
কংগ্রেসের গতিপ্রকৃতি লালু প্রসাদ যে আঁচ করতে পারছেন না, তা নয়। আরজেডি-র অনেকেই মনে করছেন, এ-ও হতে পারে কংগ্রেস চাপের রাজনীতি করছে। স্নায়ুর লড়াই চালাচ্ছে তাঁদের সঙ্গে। শুধু লালু নন, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ আজও বলেন, আরজেডি-র সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের অভিজ্ঞতা রয়েছে। জেডিইউ-এর সঙ্গে তা নেই। তাই লালু প্রসাদের সঙ্গেই শেষ পর্যন্ত জোট হবে। দু’-তিন দিনের মধ্যে তা ঘোষণাও হয়ে যাবে।