ক্ষমতায় এলে ভিন্ন ঘরানার রাজনীতি উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আপ নেতৃত্ব। কিন্তু সরকার বিরোধী ধর্না-বিক্ষোভ থেকে টিকিট বণ্টন-সবেতেই আর পাঁচটা দলের চেনা ছবি আপ শিবিরেও। আজ আপে যোগ দেন অভিনেত্রী গুল পনাগ। চণ্ডীগড় থেকে তাঁকে টিকিট দিয়েছে দল। প্রথমে ওই কেন্দ্রে কৌতুক শিল্পী সবিতা ভাট্টিকে টিকিট দিলেও পরে পনাগকে বেছে নিয়েছেন আপ নেতৃত্ব। তা নিয়ে দলের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এক দল আপ সমর্থক। অন্য দিকে দিল্লির উত্তর-পূর্ব কেন্দ্র থেকে আনন্দ কুমারকে প্রার্থী করেছে দল। আজ সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে দিল্লির হনুমান রোডে দলের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই আপ সমর্থকেরা। কেজরীবালকে লেখা খোলা চিঠিতে ওই বিক্ষোভকারীরা আবেদন করেছেন, আনন্দ কুমার বহিরাগত। তাঁকে দলের কেউ চেনে না। তাই আনন্দের বদলে অন্য কাউকে দাঁড় করান হোক।
দিল্লি বিধানসভায় মাত্র ৩২০ ভোটে হেরে যাওয়া সাজিয়া ইলমি দক্ষিণ দিল্লি কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন। সেখানে দেবেন্দ্র শেরাওয়াতকে প্রার্থী করে দল। সাজিয়াকে সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে রায়বরেলীতে দল দাঁড় করাতে চাইলেও তিনি তা মানতে চাননি। সাজিয়া বলেছেন, “সামনে আমার ছেলের পরীক্ষা। আমি তাই দিল্লি সংলগ্ন এলাকা থেকে দাঁড়াতে চাই।” দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সাজিয়াকে গাজিয়াবাদ থেকে টিকিট দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে চাইছেন।
রাহুল গাঁধীর কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়া কুমার বিশ্বাসও দলের উপরে ক্ষুব্ধ। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ সফরে গেলে কেজরীবালকে তাঁর কেন্দ্রে প্রচারে যেতে অনুরোধ করেন বিশ্বাস। আপ সূত্রের খবর, বিশ্বাসের উপর প্রসন্ন নন কেজরীবাল। কারণ, দলের অনুমোদন ছাড়াই অমেঠি কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বিশ্বাস। তাই কেজরীবাল উত্তরপ্রদেশ গিয়েও অমেঠি সফর এড়িয়ে যান। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয় তাঁর।
শুধু ওই দুই নেতাই নয়, দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আইনজীবী অশোক অগ্রবাল চাঁদনি চক কেন্দ্র থেকে টিকিট না পেয়ে দু’দিন আগেই দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, যাঁরা শুরু থেকে দলের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। যাঁরা পরে এসেছেন তাঁদের প্রার্থী করছে দল।