পরিবারতন্ত্রের মুখ হিসেবে তুলে ধরতে রাহুল গাঁধীকে শাহজাদা বা সাহাবজাদা আখ্যা দিয়ে নিরন্তরই আক্রমণ করে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। আজও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু ভোটযুদ্ধের ময়দানের প্রতিপক্ষের মুখ স্পষ্ট হতেই নরেন্দ্র মোদী আজ বেনজির আক্রমণ শুরু করলেন আম আদমি পার্টি নেতা অরবিন্দ কেজরীবালকে। গত কালই যিনি বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
এ কে। তিন বার এই ইংরেজি হরফ-যুগলকে মোদী আজ ছুড়ে দেন তিনটি নিশানা বিঁধতে। একে-৪৭। এ কে অ্যান্টনি। আর এক এ কে হলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। দায়িত্ব পেয়ে যিনি দিল্লিতে মাত্র ৪৯ দিন সরকার চালিয়েছেন। নামের আদ্যক্ষরে সেই শ্লেষ জুড়ে একে-৪৯। নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণের নয়া নিশানা। তাঁর কথায় “তিনটি একে এখন পাকিস্তানে শক্তি। একে-৪৭, একে অ্যান্টনি এবং একে-৪৯।” কেজরীবাল প্রসঙ্গে মোদী আরও বলেন, “এই একে-৪৯ এমন একটা দলের জন্ম দিয়েছেন, যার ওয়েবসাইটে কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ বলে দেখানো রয়েছে।”
আজ সকাল থেকে তিনটি সভা করেন মোদী। জম্মু, উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর ও রাতে রাজধানী দিল্লি। তিনটি সভাতেই তিনি রাহুলের চেয়ে ঢের বেশি তীব্র ভাবে আক্রমণ করলেন কেজরীবালকে। কাশ্মীরে সেনা থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপ নেতা প্রশান্তভূষণের গণভোট চাওয়ার সমালোচনা করেন মোদী। প্রচারের শুরুতেই জম্মু-কাশ্মীরে মাটিতে দাঁড়িয়ে জাতীয়তাবাদ উস্কে দিয়ে কেজরীবালকে কার্যত রাষ্ট্রবিরোধী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেন মোদী। আর রাতে দিল্লিতে এসে কেজরীবালকে আখ্যা দেন ‘ধোঁকাবাজ রাজনীতিক’ হিসেবে।