বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদীনালা ও জলা এলাকাতেও এ বার বেড়া দিতে চায় ভারত সরকার। এই বিশেষ ধরনের বেড়ার জন্য সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
মন্ত্রক সূত্রের খবর, সমুদ্র-সৈকতে এক বিশেষ ধরনের বেড়া দিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে সফল হয়েছে দ্বীপ-রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। ২০০৩ সালে পুলাউ উবিন সমুদ্র সৈকতে এই লম্বা প্রাচীর তৈরি করা হয়। অনুপ্রবেশকারীদের নৌকা যাতে কোনও ভাবেই সিঙ্গাপুরের তটে ভিড়তে না পারে, সে জন্য জলে ডোবা প্রাচীরের সঙ্গে ভাসমান ড্রামের দেওয়ালও বসানো হয়। সিঙ্গাপুর দিল্লিকে জানিয়েছে দৃষ্টিকটু লাগলেও অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে এই বেড়া খুবই কার্যকর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও মনে করছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের যে সব জায়গায় জলের কারণে কাঁটাতারের বেড়া থমকে গিয়েছে, সেখানে এই ‘সিঙ্গাপুরি প্রাচীর’ বসাতে পারলে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধের কাজ অনেক সহজ হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ৩৯০৯ কিলোমিটার। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম এই আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৩৩২৬ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ। কাজ চলছে আরও ৮০ কিলোমিটার সীমান্তে। এ জন্য কয়েক দফায় মোট ৪০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এ বার বাকি ৫০৩ কিলোমিটার বেড়ার কাজ শেষ করতে হবে এই সরকারকে। কিন্তু, এত দিন বেড়া তৈরি হয়েছে ডাঙায়।