Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

তামিলনাড়ুতে দাবানল থেকে উদ্ধার ৩০ জন

পর্বতারোহন অভিযান শেষ হওয়ার আগেই দাবানলের কবলে পড়ে যান চেন্নাই থেকে যাওয়া পড়ুয়ারা। ওই দলটিরই এক সদস্যা নিজের বাড়িতে ফোনে খবর দেন। তাঁর বাবা দ্রুত বন বিভাগকে জানান বিপদের কথা।

জঙ্গলে ঢাকা পাহাড়ি এলাকা আগুনের কবলে। পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে বায়ুসেনার সাহায্য নিচ্ছে রাজ্য সরকার। —প্রতীকী ছবি / ফাইল চিত্র।

জঙ্গলে ঢাকা পাহাড়ি এলাকা আগুনের কবলে। পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে বায়ুসেনার সাহায্য নিচ্ছে রাজ্য সরকার। —প্রতীকী ছবি / ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
চেন্নাই শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৮ ২১:৫৭
Share: Save:

বিধ্বংসী দাবানলের ফাঁদে অন্তত ৩০ পড়ুয়া। তামিলনাড়ুর থেনি জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় বায়ুসেনার সাদার্ন কম্যান্ড উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। রাত পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে প্রায় ৩০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে পলানীস্বামী। তবে তাঁর দাবি, জঙ্গলে দুষ্কৃতীরা আগুন ধরিয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, থেনি জেলার কুরাঙ্গনি পাহাড়ে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন ওই পড়ুয়ারা। চেন্নাই থেকে যাওয়া দলটি প্রশাসন বা বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি বলে পুলিশের তরফে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে।

পর্বতারোহন অভিযান শেষ হওয়ার আগেই দাবানলের কবলে পড়ে যান চেন্নাই থেকে যাওয়া পড়ুয়ারা। ওই দলটিরই এক সদস্যা নিজের বাড়িতে ফোনে খবর দেন। তাঁর বাবা দ্রুত বন বিভাগকে জানান বিপদের কথা।

আরও পড়ুন: কাল ঘেরাও, মুম্বইয়ে কৃষক জমায়েত বাড়ছে, চাপে বিজেপি সরকার

আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে মর্যাদার লড়াই, ব্যবধান আরও বাড়বে, বলছেন যোগী

আটকে পড়া পড়ুয়াদের দ্রুত উদ্ধার ব্যবস্থা করতে মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামী সরাসরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে কথা বলেন। সীতারামনের নির্দেশে বায়ুসেনার সাদার্ন কম্যান্ড আটকে পড়া অভিযাত্রী দলটিকে উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে। বায়ুসেনা থেনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলছে বলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী টুইটারে জানিয়েছেন।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আটকে পড়া পড়ুয়াদের সকলেই অক্ষত রয়েছেন। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন এবং বনকর্মীরাই সর্বাগ্রে অভিযাত্রী দলটির কাছে পৌঁছেছে। উদ্ধারকাজে তাঁরাও সহায়তা করছেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন টুইটারে জানান, উদ্ধারকার্যের জন্য বায়ুসেনার চপার পাঠানো হয়েছে। সুলুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে চপার গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। তবে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারে বায়ুসেনা বিশেষ ভূমিকা নিতে পারেনি বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। প্রয়োজনে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্য চপার তৈরি রাখা হয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী কে পলানীস্বামী জানান, আর ১০ জনকে উদ্ধার করা বাকি রয়েছে। তাঁর দাবি, বছরের এই সময়ে ওই এলাকায় জঙ্গলে দাবানল হয়। ফলে ট্রেকিং করা আইনসম্মত নয়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘তবে এ ক্ষেত্রে জঙ্গলে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়েছে। জঙ্গলে ঢোকার নিয়মকানুন আরও কঠোর ভাবে বলবৎ করতে নির্দেশ দিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE