রুটি, ডাল, পনির এবং চিকেন! নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘স্বৈরাচারী আচরণ’, মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্যপণ্যে জিএসটির প্রতিবাদে সংসদ ভবন চত্বরে গাঁধীমূর্তির নীচে অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল সাসপেন্ডেড সাংসদদের এই ছিল বুধবারের নৈশভোজের মেনু। ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে তৃণমূল।
খোলা আকাশের নীচে রাত্রিবাসের পরে মঙ্গলবার সকালেই ধর্নাস্থলে হাজির চা এবং প্রাতরাশ। বিরোধী জোটের তরফে তার ব্যবস্থা করেছে তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে। দক্ষিণের ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিনের বোন তথা রাজ্যসভা সাংসদ কানিমোঝিও রাতভর ছিলেন ধর্নায়।
সংসদের অন্দরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘ফ্লোর কো-অর্ডিনেশনে’ খামতি থাকার অভিযোগ উঠলেও ২৪ সাংসদের ৫০ ঘণ্টার ধর্না-পর্বে অভূতপূর্ব ঐক্য দেখা গিয়েছে বিরোধী শিবিরে। বৃহস্পতিবার ধর্নার দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজের দায়িত্ব নিয়েছে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল টিআরএস (তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি)। নৈশভোজের আয়োজন করবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি (আপ)।
অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে রাজ্যসভা থেকে মঙ্গলবার সাসপেন্ড করা হয় ২০ জন সাংসদকে। শুক্রবার পর্যন্ত সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সাত জন— দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, শান্তনু সেন, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমূল হক এবং শান্তা ছেত্রী। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কানিমোঝি-সহ ডিএমকের ছয়, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির তিন, সিপিএমের দুই, সিপিআইয়ের এক এবং আম আদমি পার্টির এক জন।
এর আগে সোমবার অধিবেশন চলাকালীন অভব্যতার অভিযোগে কংগ্রেসের চার সাংসদ, তামিলনাড়ুর মনিকম টেগোর (বিরুধনগর) ও জ্যোতিমণি সেন্নিমালাই এবং কেরলের টিএন প্রতাপন (ত্রিশূর) ও রম্য হরিদাস (কোঝিকোড়)-কে বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য (আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত) সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা। মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যপণ্যে জিএসটি বসানো-সহ নানা ‘জনবিরোধী’ কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত গাঁধীমূর্তির নীচে অবস্থানে বসেছেন সাসপেন্ডেড ওই ২৪ সাংসদ।