তামার কারখানার জন্য বিষাক্ত হয়ে উঠেছে পরিবেশ। বাড়ছে দুরারোগ্য রোগ। এই অভিযোগে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে বেদান্ত স্টারলাইট কপার কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন আশপাশের ১৮টি গ্রামের মানুষ। মঙ্গলবার দুপুরে সেই আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালাল পুলিশ। মারা গিয়েছেন ৯ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় ১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর পরেই উত্তেজনা শহর জুড়ে। উত্তপ্ত তামিলনাড়ু থেকে দিল্লির রাজনীতি।
তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী শহর থুদুকুড়িতে (তুতিকোরিন) স্টারলাইট কপার কারখানার বিরুদ্ধে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল ঠিক ১০০ দিন আগে। থুদুকুড়িতে ওই কারখানা বিস্তারের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখে। প্রতিবাদ জানাতে পথে নামেন গ্রামবাসীরা। কারখানা বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণ ভাবেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। কমল হাসন থেকে শুরু করে তামিল সিনেমা জগতের অনেকেই সেই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
আজ আন্দোলনের ১০০ দিন উপলক্ষে সকাল থেকেই বড়সড় বিক্ষোভের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কয়েক হাজার মানুষ স্টারলাইট কারখানার বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করতে চাইলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। কিন্তু বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করেই শহরের মধ্যে দিয়ে মিছিল করে এসে কালেক্টরেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যান আন্দোলনকারীরা। মিছিল কালেক্টরেটে পৌঁছলে আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে নিশানা করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশের গোটা দশেক গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। দু’টিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কালেক্টরেটেও আগুন লাগানো হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গুলি চালায় পুলিশ। যার জেরে মৃত্যু-মিছিল।