Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Aadhar

Electoral Reform: নির্বাচনী আইন সংস্কারে উদ্যোগী কেন্দ্র, চারটি প্রস্তাবের মধ্যে আধার-ভোটার সংযুক্তিও

সুপ্রিম কোর্টে ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার’ সংক্রান্ত মামলার জেরে বিষয়টি আপাতত বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। রাখা হচ্ছে ‘ঐচ্ছিক’ হিসেবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:২০
Share: Save:

নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মেনে ভোট আইনে বড় বদল আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ভোট প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ এবং সুসংহত করার লক্ষ্যে নির্বাচনী আইনে চার দফা সংস্কার করা হতে পারে।

প্যান কার্ড-আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের পরে এ বার ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণ ব্যবস্থা করা নয়া আইনে। তবে সুপ্রিম কোর্টে ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার’ সংক্রান্ত মামলার জেরে বিষয়টি আপাতত বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। রাখা হচ্ছে ‘ঐচ্ছিক’ হিসেবে।

ভুয়ো ভোটার কার্ডের চিহ্নিতকরণ ও ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরিতে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব আইন মন্ত্রকের কাছে আগেই পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সংযুক্তিকরণের সেই প্রস্তাবকে গত বছর অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। ওই কমিটির মতে, সংযুক্তিকরণ হলে এক দিকে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিতকরণ হবে। তেমনই ওই পদক্ষেপ আখেরে গণতন্ত্রকেই মজবুত করবে।

তবে শুরুতেই সংযুক্তিকরণের ধোঁয়াশা কাটাতে নির্বাচন কমিশন সুপারিশ করেছিল, কোনও ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় থাকলেই তিনি ভোট দিতে পারবেন। তাঁর আধার কার্ড রয়েছে কি না বা থাকলে ভোটার কার্ডের সঙ্গে সেই আধারের সংযুক্তিকরণ হয়েছে কি না, তা ভোটের সময়ে বিবেচনা করা হবে না।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেই নির্বাচন কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ভোটার এবং আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও ব্যক্তি পরিসরের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সে বছরের অগস্ট মাস থেকে ওই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তত দিনে অবশ্য প্রায় ৪০ কোটি ভোটারের কাছ থেকে আধার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ফেলেছিল নির্বাচন কমিশন।

প্রস্তাবিত নয়া নির্বাচনী আইনে ১৮ বছরে পা দেওয়া প্রথম বারের ভোটারদের বছরে চার বার নাম নথিভুক্তিকরণের কথা বলা হয়েছে। আগে তা বছরে এক বার করা যেত। তা ছাড়া ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা কমাতে ভোটার তালিকায় সংশোধন প্রক্রিয়ায় আরও নজরদারির কথা বলা হয়েছে নয়া আইনে। রয়েছে, মহিলা সার্ভিস অফিসারদের স্বামীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করার প্রস্তাবও। এত দিন পর্যন্ত কেবল পুরুষ সার্ভিস অফিসারদের স্ত্রীরা এই সুবিধা পেতেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE