ভারতকে পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠী বা এনএসজি-তে ঢুকতে না দিতে আরও প্যাঁচ কষলো চিন। আর এই পরিস্থিতিতে বেজিং সম্পর্কে কড়া আবস্থান নিল নয়াদিল্লি।
রাশিয়ায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্তব্য করেছিলেন, ভারত-চিন সীমান্তে ৪০ বছরে একটাও বুলেট চলেনি! চিন আজ মোদীর বক্তব্যের প্রশংসা করেছে। কিন্তু চিনের সহকারী বিদেশমন্ত্রী লি হুইলাই মন্তব্য করেছেন, ‘‘নতুন পরিস্থিতিতে এনএসজিতে কোনও দেশকে সামিল করানো কঠিন হয়ে পড়েছে।’’ চিনা সরকারের নিশানায় যে ভারত— তা স্পষ্ট। ভারতের মতো দেশ পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) সই করেনি। একে সামনে রেখেই নয়াদিল্লির এনএসজিতে ঢোকা নিয়ে পাঁচিল তুলছে চিন। কূটনীতিকদের মতে, আসলে বেজিংয়ের বক্তব্য, ভারত যদি এনএসজি-র সদস্য হয়, তা হলে পাকিস্তানকেও নেওয়া হবে না কেন? এই মাসেই বসছে এনএসজি-র বৈঠক। আজ বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানান, মোদী বিষয়টি নিয়ে চিনের উপরে চাপ তৈরিতে অনুরোধ করেছেন ভ্লাদিমির পুতিনকে। রাশিয়া বরাবরই অভিজাত পরমাণু ক্লাবে ভারতের অর্ন্তভূক্তির পক্ষে।
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ভারতীয় আকাশসীমায় চিনা সেনার দু’টি হেলিকপ্টার ঢুকে পড়া নিয়েও দু’দেশের মধ্যে টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। সুষমা জানান, এ নিয়ে কৈফিয়ৎ চাওয়া হবে বেজিং-এর কাছে। তবে সোমবারই বেজিং জানিয়েছে, যে এলাকায় হেলিকপ্টার উড়েছে, তার ভৌগোলিক সীমা নিয়ে ভারত ও চিনের বিবাদ রয়েছে। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং মন্তব্য করেছেন, ‘‘চিনা সেনারা ওই বিশেষ এলাকায় নিয়মিত ভাবে টহল দেয়। এলাকায় শান্তি রাখতে দু’দেশকেই উদ্যোগ নিতে হবে।’’
এই টানাপড়েনের মধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে চিনের অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে বেজিংকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন সুষমা। তাঁর কথায়, ভারতও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংযোগ প্রকল্প তৈরি করেছে। চাবাহার, উত্তর দক্ষিণ করিডর, কালাদান, বিবিআইএম ইত্যাদি। তবে সুষমার যুক্তি, ‘‘এ সবই করা হয়েছে সর্বসম্মতিতে। কিন্তু চিন ভারতের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে করিডর করতে চাইছে। এ নিয়ে আমরা কোনও আপস করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy