বহু বছর পর চিতাকে কুনোর জাতীয় উদ্যানের উন্মুক্ত জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
চল্লিশের দশকে ভারতের বনভূমি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল চিতা। তার পর কেটে গিয়েছে সত্তরটা বছর। তবে, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। তার আভাসও মিলেছে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের উন্মুক্ত জঙ্গলে। বহু বছর পর চিতাকে কুনোর জাতীয় উদ্যানে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। বনবিভাগের আধিকারিকেরা এই মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছেন।
বনবিভাগের ডিএফও প্রকাশকুমার বর্মা জানিয়েছেন যে, এই চিতাটির নাম ওবান। ওবান একটি পুরুষ চিতা বলে জানান তিনি। ১১ মার্চ মহিলা চিতা আশার সঙ্গে তাকে জঙ্গলের খোলা এলাকায় ছাড়া হয়েছিল। বনবিভাগের তরফে ওবান এবং আশার চলাফেরা, হাবভাব নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রকাশ জানিয়েছেন যে, ওবান একা ঘুরে বেড়ায় না। মাঝেমধ্যেই তাকে দেখা যায় আশার সঙ্গে। কখনও তারা একে অপরের সঙ্গে খেলে। কখনও আবার পাশাপাশি এক জায়গায় বসে থাকে ওবান এবং আশা। একসঙ্গে জঙ্গলের মধ্যে পায়চারি করতেও দেখা যায় তাদের।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়েছিল কুনো জাতীয় উদ্যানে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ১২টি চিতা দক্ষিণ আফ্রিকার জোহাসেনবার্গ থেকে কুনো জাতীয় উদ্যানে আনা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় আনা চিতাগুলির মধ্যে সাতটি পুরুষ এবং পাঁচটি মহিলা। বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে যে, নামিবিয়া থেকে আসা ছ’টি চিতাকে উন্মুক্ত জঙ্গলে খুব তাড়াতাড়ি ছাড়া হবে।
এমনকি, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যে বারোটি চিতা আনা হয়েছে, তাদেরও নিভৃতবাসের সময় ফুরিয়ে এসেছে। নিভৃতবাস ছেড়ে তাদের বৃহত্তর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।ভারতে আবার চিতার সংখ্যাবৃদ্ধির উদ্দেশেই আফ্রিকা থেকে দফায় দফায় তাদের নিয়ে আসা হচ্ছে। ভারতের পরিবেশের সঙ্গে চিতাগুলি মানিয়ে নিতে পারবে বলেই আশা বন কর্তৃপক্ষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy