প্রতীকী ছবি।
সূর্যোদয়ের পরে বাজ, চিল, শকুন। সূর্যাস্তের পরে পেঁচা। সাম্প্রতিক কালে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে পাখির ধাক্কায় উড়ান বিভ্রাট নিয়ে চিন্তিত বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিজিসিএ)। বিমানের সঙ্গে পাখির ধাক্কা লাগার ঘটনা এড়াতে শনিবার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষগুলির উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ওই নির্দেশিকায় প্রতিটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে পাখি এবং অন্য বন্যপ্রাণীর (রানওয়ে লাগোয়া জঙ্গলে বসবাসকারী শিয়াল, বনবিড়াল ইত্যাদি) ঝুঁকি সম্পর্কে মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছে ডিজিসিএ। লেখা হয়েছে, ‘বিমানবন্দর এবং তার আশপাশে কোনও উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর ঘনত্ব ও গতিবিধি সম্পর্কে পাইলটদের অবহিত করার একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকা উচিত।’
পাখি ও অন্য বন্যপ্রাণীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে তা নিয়ন্ত্রণের কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। প্রসঙ্গত, সারা ভারতে পাখির সঙ্গে বিমানের ধাক্কা লাগার ঘটনা যে বিমানবন্দরগুলিতে বেশি হয় তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা। কয়েক বছর আগে বিমান মন্ত্রকের অধীনে ‘ন্যাশনাল বার্ড হ্যাজার্ডস’ নামে একটি কমিটি পাখির ক্ষেত্রে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিমানবন্দরগুলির একটি তালিকাও তৈরি করেছিল।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, মূলত দু’ভাবে পাখির সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। টেক-অফের সময়ে বিমানের ইঞ্জিনের সামনে পাখি উড়ে এলে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন সেই পাখিকে টেনে নেয় ভিতরে। ফলে ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়। অনেক ক্ষেত্রে তা বন্ধও হয়ে যায়। একাধিক বার এমন ঘটেছে যে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছেন পাইলট। তা ছাড়া, কখনও ওড়ার মুখে পাখির ধাক্কায় ককপিটের সামনের কাচে চিড় ধরার ঘটনাও ঘটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy