নীতীশ কুমারকে বিরোধী জোট থেকে বের করে এনে বাকি বিরোধী দলগুলির উপর দুর্নীতি নিয়ে চাপ আরও বাড়াতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। অন্য দিকে নীতীশকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে এককাট্টা হচ্ছে বিরোধীরাও। রাহুল গাঁধী থেকে অখিলেশ যাদব, সকলেই এ বিষয়ে একসুর।
সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে এ দিন রাহুল গাঁধী বলেন, বিহারের জনমত ছিল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। আর এখন সেই নীতীশই ক্ষমতা লোভে ও রাজনৈতিক স্বার্থে সাম্প্রদায়িকদের আলিঙ্গন করলেন। লোকসভায় আজ লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন রাহুল। পরে তা নিয়ে আলোচনা করেন সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে। অখিলেশ যাদব টুইট করেন, ষাটের দশকের হিন্দি সিনেমা ‘জব জব ফুল খিলে’র গান— ‘না না করকে প্যায়ার তুমহি সে কর বৈঠে।’
আজ লালুপ্রসাদের উপর চাপ বাড়াতে আর্থিক নয়ছয় দমন আইনে মামলা দায়ের করে ইডি। বিজেপির এক নেতার কথায়, নীতীশ বেরিয়ে যাওয়ার পর বিরোধী প্রায় সব দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ ঝুলছে। কেউই রেহাই পাবেন না।
আবার বিরোধীদের দাবি, নীতীশ যা করলেন, তা নিখাদ সুবিধাবাদ। ক্ষমতার লোভ। আর এ ব্যাপারে মোদী আর নীতীশের ‘ডিএনএ’তে কোনও ভেদ নেই।
রাহুল এ দিন বলেন, ৩-৪ মাস ধরেই তিনি বুঝতে পারছিলেন, নীতীশকে ভাঙানোর পরিকল্পনা হচ্ছিল। যদিও বিজেপির কটাক্ষ, রাহুল যদি বুঝতেই পারছিলেন, তাহলে নীতীশকে আটকানোর জন্য চেষ্টা করলেন না কেন? রাহুলকে তো লালুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কথা বলেছিলেন নীতীশ! কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার জবাব, ‘‘জোটধর্ম মেনে নীতীশকে বিশ্বাস করেছি। ধোঁকা দিলেন তিনিই।’’