দেশের জন্য ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’ দরকারি। কিন্তু দলের জন্য নয়। এমনটাই মনে করেন অমিত শাহ। বাংলায় সফরে এসে সংবাদমাধ্যমকে এমন কথা বলে কি দলের ভিতরে ‘আদি-নব্য’ ভাগাভাগি নিয়ে সরবদেরই বার্তা দিলেন অমিত? বৃহস্পতিবার রাত থেকে এমন প্রশ্ন ঘুরছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
জেপি নড্ডা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হলেও এখনও বিজেপি-র সাংগঠনিক বিষয়ে যে প্রাক্তন সভাপতির কথাই শেষ কথা, তা সম্যক জানেন রাজ্য নেতারা। তাই অমিতের এই প্রকাশ্য বক্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে আদি-নব্য দুই শিবিরই। বৃহস্পতিবার দিনভর দলীয় কর্মসূচির শেষে একটি সংবাদমাধ্যমের শিখর সম্মেলনে যান অমিত। সেখানেই রাজ্য বিজেপি-তে নতুনদের যোগদান নিয়ে আদিদের আশঙ্কার কথা উঠে আসে। তার জবাবেই অমিত বলেন, ‘‘দলকে সব সময় বড় করতে হয়। দলে ফ্যামিলি প্ল্যানিং চলে না। এটা দেশের জন্য দরকারি হলেও দলের জন্য নয়।’’
তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায় বিজেপি-তে যোগদানের পর থেকেই শুরু হয়েছিল ‘আদি বনাম নব্য’ বিবাদ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সদ্য দলে যোগ-দেওয়া অনেককেই প্রার্থী করা হয়েছিল। সেই ‘নবাগত’-দের অনেকেই এখন সাংসদ। কিন্তু নীলবাড়ি দখলের লক্ষ্যে বিজেপি একেবারে হাট করে দলের দরজা খুলে দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো উল্লেখযোগ্যরা ছাড়াও প্রতিদিনই দলে কেউ না কেউ অন্য রাজনৈতিক দল থেকে বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই এক ডজনের বেশি অন্য দলের বিধায়ক এসেছেন বিজেপি-তে। যোগ দিয়েছেন কয়েক জন অভিনেতা-অভিনেত্রীও। তাঁরা বিধানসভা নির্বাচনে পদ্ম প্রতীকে লড়ার টিকিটও পেতে পারেন।