ফাইল চিত্র।
যোজনা কমিশন ভেঙে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরি করে অরবিন্দ পানাগড়িয়াকে তার উপাধ্যক্ষের পদে বসিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিন বছর কাটতে না কাটতেই সেই পদ থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন পানাগড়িয়া। নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষাজগতেই ফিরতে চান।
আজ পানাগড়িয়া সাংবাদিকদের জানান, তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দু’বছরের ছুটি নিয়ে এসেছিলেন। তারা ছুটির মেয়াদ বাড়াতে চাইছে না। পানাগড়িয়া বলেন, ‘‘আমার বয়স ৪০ হলে অন্য কোথাও চাকরি পেতাম। কিন্তু ৬৪ বছর বয়সে কলম্বিয়ার মতো অন্য চাকরি জোটানো মুশকিল।’’ ৩১ অগস্ট নীতি আয়োগে তাঁর শেষ দিন। ৫ সেপ্টেম্বর যোগ দেবেন কলম্বিয়ায়।
পদত্যাগের কারণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। অনেকেই ভাবছেন, সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে মতভেদের জেরেই এই সিদ্ধান্ত। আয়োগের কাজ নিয়ে বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ, ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ। তবে সরকারের একটি সূত্রের খবর, মোদী নিজেও মনে করছিলেন পানাগড়িয়া নীতি আয়োগের কাজকর্ম চালাতে পারছেন না। নীতি আয়োগের সিইও করে দুঁদে আমলা অমিতাভ কান্তকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু অমিতাভ বা উপদেষ্টা বিবেক দেবরায়ের সঙ্গে কিছু বিষয়ে তাঁর মতভেদ হয়। মাস দেড়েক আগে পানাগড়িয়া মোদীকে জানান, তিনি পদে থাকতে চান না। মোদীর ‘গুজরাত মডেল’-এর ঘোর সমর্থক পানাগড়িয়া কড়া সংস্কারপন্থী। কিন্তু ইদানীং মোদী সরকার সংস্কার ছেড়ে সমাজবাদী অর্থনীতির পথ ধরেছে বলে তিনি মনে করছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy