Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫

বিতর্কিত বই নিষিদ্ধ করার আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

মালয়ালম ভাষায় লেখা উপন্যাস মিশা ( গোঁফ)-কে কেন্দ্র করে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। এস হরীশের লেখা ওই বইটির কিছু অংশ বাদ দিতে হবে, এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাধাকৃষ্ণন। আবেদনকারীর অভিযোগ, ওই বইটির কিছু অংশে এমন মন্তব্য রয়েছে, যা সরাসরি হিন্দু ব্রাহ্মণদের পক্ষে অপমানসূচক।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:০৫
Share: Save:

বই নিষিদ্ধ করার সংস্কৃতি আসলে ভাবনার মুক্ত প্রবাহকে ব্যাহত করে, একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনটাই জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। হিন্দু মহিলাদের মন্দির দর্শন অবমাননাকর দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখানো হয়েছে, এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে একটি বই নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির বাসিন্দা এন রাধাকৃষ্ণন। সেই আর্জি খারিজ করে বুধবার প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, এক জন লেখকের মুন্সিয়ানাকে সব সময় সম্মান জানানো উচিত। সেই সঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিষিদ্ধকরণ প্রশ্নে ব্যক্তিগত অভিমতকে আইনের আওতায় আনা উচিত নয়। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

মালয়ালম ভাষায় লেখা উপন্যাস মিশা ( গোঁফ)-কে কেন্দ্র করে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। এস হরীশের লেখা ওই বইটির কিছু অংশ বাদ দিতে হবে, এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাধাকৃষ্ণন। আবেদনকারীর অভিযোগ, ওই বইটির কিছু অংশে এমন মন্তব্য রয়েছে, যা সরাসরি হিন্দু ব্রাহ্মণদের পক্ষে অপমানসূচক। তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় বা কেরল সরকার বইটির অনলাইন মুক্তি এবং প্রকাশনা আটকানোর কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। যার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, ‘‘এমন জিনিসকে অহেতুক গুরুত্ব দিচ্ছেন। ইন্টারনেটের যুগে এ নিয়ে অভিযোগ করছেন কী করে। এটা ভুলে যাওয়াই ভাল।’’

আবেনদনকারী অভিযোগ করেছিলেন, এই ধরনের বই নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে ভারতেও যে কোনও দিন শার্লি এবদোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। ২০১৫ সালে প্যারিসে সাপ্তাহিক ব্যঙ্গ পত্রিকা শার্লি এবদোর অফিসে হামলা হয়। মারা যান ১২ জন।

আরও খবর: রাফাল ভাল, সব মন্ত্রীকে ডেকে বোঝালেন মোদী

ওই পত্রিকার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল একাধিক বার। এই মামলায় অভিযোগকারীর আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ ‘পলিয়েস্টার প্রিন্স’ ও ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এর মতো বিতর্কিত বইয়ের উদাহরণও দিয়েছেন। যেগুলি এখনও নিষিদ্ধ। তবে আদালতের বক্তব্য, আইন শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত না-ঘটালে কোনও বই নিষিদ্ধ করা যায় না। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ‘‘চিত্রশিল্পী যেমন রং নিয়ে খেলেন, এক জন লেখককেও তেমন শব্দ নিয়ে খেলতে দেওয়া উচিত।’’ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কোনও বইকে নিষিদ্ধ তখনই করা যাবে, যেখানে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯২ ধারা প্রয়োগ করা যাবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Book Meesha S Hareesh Supreme Court of India মিশা
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy