বৃষ্টিতে ধস নামল ৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। ছবি: শীর্ষেন্দু শী।
একটানা বৃষ্টিতে যে কোনও সময় বড় ধস নেমে দেশের অন্য প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে বরাক-সহ ত্রিপুরা, মিজোরাম। আজ সকালে মেঘালয়ের সোনাপুর এলাকায় ধস নামায় কয়েকশো গাড়ি ৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে যায়। দুপুরে রাস্তা থেকে পাথর, মাটি সরিয়ে দেওয়ার পর যানচলাচল শুরু হয়। প্রশাসনের আশঙ্কা, বৃষ্টি চলতে থাকায় পাহাড়ি এলাকায় ফের ধস নামতে পারে।
মেঘালয়ের কেলেরিয়েট থেকে সোনাপুর পর্যন্ত এলাকা অত্যন্তই বিপদসঙ্কুল। পাহাড়ের বুক চিরে জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। বেশি বৃষ্টি হলেই সাধারণ ভাবে সেখানে ধস নামে। বরাক, মিজোরাম, ত্রিপুরার সড়ক যোগাযোগ মেঘালয়ের ৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গেও যুক্ত। তাই ওই রাস্তায় খুব বেশি গাড়ি চলে। কয়েক বছর আগে জাতীয় সড়কে আচমকা বড় ধস নামায় একটি গাড়ি লোভা নদীতে পড়ে যায়। তাতে কয়েক জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের কয়েক জনের দেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তা ছাড়াও সেই রাস্তায় হঠাৎ পাহাড়ের জল নেমে আসায় অনেক বার প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
তবে, সেই সময় রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল ছিল। কিন্তু বর্তমানে ব্রডগজের কাজের জন্য বরাক-ত্রিপুরার রেল পরিষেবা বন্ধ। একমাত্র ভরসা ৪ নম্বর জাতীয় সড়কটিই। কিন্তু সেই রাস্তায় বার বার ধস নামায় আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষ।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ দিন সকাল থেকেই ৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া পাহাড়ের কয়েকটি জায়গায় ধস নামায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়। তার জেরে ওই রাস্তায় প্রায় ঘণ্টাচারেক যানচলাচল বন্ধ ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy