ব্রিটেনের কনজ়ারভেটিভ সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান। প্রতীকী ছবি।
বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়ালেন ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ বব ব্ল্যাকম্যান। ব্রিটেনের কনজ়ারভেটিভ এমপি মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন, মোদীকে নিয়ে বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্র ‘সম্পূর্ণ ভাবে অতিরঞ্জিত’। বিবিসি-র মতামত নিজস্ব। তা কোনও ভাবেই ব্রিটিশ সরকারের মতামতকে উপস্থাপন করে না। তথ্যচিত্রটি অনৈতিক ভাবে তৈরি করা হয়েছে। ভারত ব্রিটেনের বন্ধু।
ব্ল্যাকম্যান যোগ করেছেন, ‘‘দুই পর্বের তথ্যচিত্র খারাপ সাংবাদিকতার ফসল। খারাপ ভাবে গবেষণা করে এটি তৈরি করা হয়েছে।’’
এর আগে, ২৫ জানুয়ারি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হওয়া ‘গণহত্যা’ সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্ল্যাকম্যান। তিনি বলেছিলেন, “আমি এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যার ৩৩ বছর স্মরণের শোকসভায় গিয়েছিলাম। আমরা জনগণকে এই নৃশংসতার বিষয়ে জানিয়ে যাব, যা ১৯৯০ সালে অনেক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছিল।’’
এর আগে বিভিন্ন সময়ে ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন ব্ল্যাকম্যান। পাশাপাশি, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির সঙ্গে তাঁর বিশেষ সখ্যের কথাও বার বার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীর জমানায় গোধরাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এ। এই তথ্যচিত্র নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তির কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। নিষিদ্ধও করা হয়েছিল তথ্যচিত্রটি। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, এই তথ্যচিত্র ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তৈরি হয়েছে। যদিও বিবিসির দাবি, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদী সরকারের ওই পদক্ষেপকে বিরোধী দলের নেতারা ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন। কেন্দ্রের তরফে এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করার পরও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এই তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে। বিবিসি-র এই তথ্যচিত্র নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy