Advertisement
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
Bhima Koregaon

Bhima-Koregaon Case: চার্জশিট পেশে পুলিশের দেরিতে জামিন নয়, ভারাভারাদের আবেদন খারিজ বম্বে হাই কোর্টে

২০১৮-র জানুয়ারিতে মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁওয়ে দলিত বিজয়দিবস অনুষ্ঠান ঘিরে হিংসার পিছনে ভারাভারা জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের অভিযোগ।

ভারাভারা রাও।

ভারাভারা রাও। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২২ ১৫:১১
Share: Save:

ভীমা কোরোগাঁও মামলায় অভিযুক্ত তেলুগু লেখক-কবি ভারাভারা রাও এবং দুই সমাজকর্মীর আবেদন খারিজ করে দিল বম্বে হাই কোর্ট। পুলিশের গাফিলতির কারণে ধৃতদের জামিনের (ডিফল্ট জামিন) নিয়ে হাই কোর্টের আগেকার রায় চ্যালেঞ্জ করে ভারাভারা এবং তাঁর সহ অভিযুক্তেরা যে আবেদন করেছিলেন, বুধবার বিচারপতি এস এস শিন্ডে এবং বিচারপতি এন জে জমাদারের বেঞ্চ বুধবার তা খারিজ করে দিয়েছে।

ভারাভারা এবং তাঁর সঙ্গী অরুণ ফেরেরা, ভার্নন গঞ্জালভেসের দাবি ছিল, ৯০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তদন্ত চালিয়ে চার্জশিট দেওয়ার জন্য পুণে পুলিশের আর্জি যাতে মঞ্জুর করা না হয়। এ বিষয়ে আদালতের আগের রায় বাতিলের দাবি জানিয়ে তাঁরা আবেদন করেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুলিশ চার্জশিট দিতে না পারার কারণে যাতে অভিযুক্তরা জামিন না আটকায়। কিন্তু এ বিষয়ে আগেকার রায় পুনর্বিবেচনার দাবি খারিজ করে বম্বে হাই কোর্ট বলেছে, ডিফল্ট জামিন না পেলেও অভিযুক্তেরা সাধারণ জামিনের আবেদন জানাতে পারবেন।

২০১৮-র জানুয়ারিতে মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁওয়ে দলিত বিজয়দিবস অনুষ্ঠান ঘিরে হিংসার পিছনে ভারাভারা-অরুণ-ভার্নন ছাড়াও আরও বেশ কয়েক জন জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিক অভিযোগ ছিল পুলিশের। অভিযুক্তের তালিকায় ছিল, ট্রেড ইউনিয়ন নেত্রী তথা আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজ এবং গৌতম নওলাখার নাম।

ভারাভারাকে ওই বছরের অগস্টে গ্রেফতার করে পুণে পুলিশ। সুধা, নওলাখা-সহ একাধিক অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যের কারণে গত বছর ভারাভারার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

ওই মামলার তদন্তে নেমে মাওবাদীদের একটি চিঠি পাওয়ার দাবি করে পুলিশ জানায়, তাতে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের উল্লেখ ছিল। ওই চিঠিতে ভারাভারার নাম ছিল বলেও দাবি করেছিল পুলিশ। মূল অভিযুক্ত পাঁচ জনের পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাওবাদী-সংশ্রবের অভিযোগ মামলা রুজু করা হয়। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে নাগরিক সমাজের একাংশের সমালোচনার মুখে পড়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE