Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
রেজিস্টার পাওয়ার সূত্র

জানাতে বাধ্য ভূষণ: রঞ্জিত

সিবিআই প্রধানের বাড়ির রেজিস্টার নিয়ে মামলায় পাল্টা চাপের মুখে পড়লেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। ভূষণ কোন সূত্র থেকে ওই রেজিস্টার পেয়েছেন তা তিনি জানাতে বাধ্য বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন রঞ্জিত। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই প্রধানের বাড়ির একটি রেজিস্টার জমা দেন প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর দাবি, ওই রেজিস্টারে টুজি ও কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত-সহ নানা বিতর্কিত ব্যক্তির নাম রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৩
Share: Save:

সিবিআই প্রধানের বাড়ির রেজিস্টার নিয়ে মামলায় পাল্টা চাপের মুখে পড়লেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। ভূষণ কোন সূত্র থেকে ওই রেজিস্টার পেয়েছেন তা তিনি জানাতে বাধ্য বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন রঞ্জিত।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই প্রধানের বাড়ির একটি রেজিস্টার জমা দেন প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর দাবি, ওই রেজিস্টারে টুজি ও কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত-সহ নানা বিতর্কিত ব্যক্তির নাম রয়েছে। তাঁরা সিবিআই প্রধানের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। ভূষণের মতে, রঞ্জিত ওই অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। এই অভিযোগের জবাবে গত কাল শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়েছেন রঞ্জিত।

ভূষণ সুপ্রিম কোর্টে ওই রেজিস্টারের দু’টি নথি জমা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, প্রথম নথিটি মূল রেজিস্টারের প্রতিলিপি, দ্বিতীয়টি মূল রেজিস্টার। প্রথম নথিটি তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন তা জানাননি ওই আইনজীবী। তবে মূল রেজিস্টারটি তাঁকে এক ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ ব্যক্তি এসে দিয়ে গিয়েছেন বলে দাবি ভূষণের।

সিবিআই প্রধান হলফনামায় জানিয়েছেন, কোনও অপরাধের আগাম আভাস যাঁরা দেন (হুইসলব্লোয়ার) তাঁদের রক্ষা করার যুক্তি এ ক্ষেত্রে খাটে না। কারণ, কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হুইসলব্লোয়ারের বিপদের আশঙ্কা থাকলে তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু ঘটেনি। তাই ভূষণ কার কাছ থেকে ওই রেজিস্টার পেয়েছেন তা তিনি জানাতে বাধ্য।

ভূষণের দাবি, রিলায়্যান্স টেলিকমের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকের পরে তৎকালীন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ইউ ইউ ললিতকে চিঠি লেখেন রঞ্জিত। তাতে তিনি রিলায়্যান্স টেলিকমের বিরুদ্ধে নতুন তদন্ত শুরুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ললিত রাজি হননি। ললিত এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।

ভূষণের এই অভিযোগের জবাবে রঞ্জিত জানিয়েছেন, তাঁর ও ললিতের মধ্যে যে সব চিঠিপত্র আদানপ্রদান হয়েছে তা গোপনীয়। তাঁর সম্মতি ছাড়া ভূষণ ওই চিঠিপত্রের কথা প্রকাশ করতে পারেন না।

কয়লা কাণ্ডের শুনানির সময়ে সুপ্রিম কোর্ট রঞ্জিতের ভূমিকার সমালোচনা করেছে বলেও সওয়ালের সময়ে জানান ভূষণ। কয়লা কাণ্ডের শুনানির সময়ে সিবিআইকে ‘খাঁচায় বন্ধ তোতা’ বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু রঞ্জিতের বক্তব্য, তাঁর কাজের সমালোচনা হয়নি। ভূষণ তাঁর সম্মানহানি করে নিজের অনুকূলে কোর্টের নির্দেশ পেতে মিথ্যে বলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE