Advertisement
১১ ডিসেম্বর ২০২৪

‘শত্রু মারণ জপ’-এ বসলেন খোদ মন্ত্রীমশাই!

শুধু জপ করাই নয়, পণ্ডিতজির নির্দেশে পুরনো গাড়িতে ওঠা বন্ধ করে দিয়েছেন বিহারের স্বাস্থ্য, ক্ষুদ্র সেচ, বন ও পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী। সূত্রের খবর, তাঁর জন্য আনা হয়েছে ফোর্ড কোম্পানির ৩৭ লক্ষ টাকার নতুন গাড়ি। সরকারি বাসভবনের উত্তর দিকের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তেজপ্রতাপ যাদব।— ফাইল ছবি।

তেজপ্রতাপ যাদব।— ফাইল ছবি।

দিবাকর রায়
পটনা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ১২:০০
Share: Save:

সময় ভাল যাচ্ছে না পরিবারের। তাই বাড়ির বড় ছেলে হিসেবে ‘কর্তব্য’ করতে এগিয়ে এলেন তিনি। পরিবারের মঙ্গল কামনায় শুরু করলেন ‘শত্রু মারণ জপ’। সাত দিন ধরে টানা সেই জপে ব্যস্ত বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদব।

বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদ্বয় লালু প্রসাদ ও রাবড়িদেবীর বড় ছেলে তেজপ্রতাপের এই জপ করতে দ্বারভাঙা থেকে বিশেষ গোত্রের (শাকদ্বীপী) ব্রাহ্মণদের নিয়ে আসা হয়েছে। নিজের সরকারি আবাস ৩ দেশরত্ন মার্গে রাত আটটা থেকে ১১টা পর্যন্ত লাল রঙের অঙ্গবস্ত্র পরিধান করে জপে বসছেন মন্ত্রীমশাই।

শুধু জপ করাই নয়, পণ্ডিতজির নির্দেশে পুরনো গাড়িতে ওঠা বন্ধ করে দিয়েছেন বিহারের স্বাস্থ্য, ক্ষুদ্র সেচ, বন ও পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী। সূত্রের খবর, তাঁর জন্য আনা হয়েছে ফোর্ড কোম্পানির ৩৭ লক্ষ টাকার নতুন গাড়ি। সরকারি বাসভবনের উত্তর দিকের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দিক দিয়ে যাতায়াত করছেন সপার্ষদ তেজপ্রতাপ।

আরও খবর
আগাম জামিনের আবেদন বিক্রমের

পণ্ডিতজির ঘনিষ্ঠ এক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘শত্রু মারণ জপ’ কোনও শত্রুর মৃত্যু কামনার জন্য করা হয় না। আসলে শত্রুর মনের ভিতরে পরিবর্তন করে তাঁর হামলাকে ভোঁতা করে দেওয়ার জন্য তান্ত্রিক মতে এই পদ্ধতির অবলম্বন করা হয়। এই মুহূর্তে তেজপ্রতাপের বড় শত্রু সুশীল মোদী। তাঁর একের পর এক হামলায় বিপর্যস্ত লালু প্রসাদের পরিবার। পণ্ডিতজি তেজপ্রতাপকে বলেছেন, ঠিক করে জপ করতে পারলে এর ফল পাওয়া যাবে। আর সে কারণেই একনিষ্ঠ হয়ে নিজের সরকারি আবাসে এই পুজো পদ্ধতি শুরু করেছেন তেজপ্রতাপ।

এমন নয় তেজপ্রতাপই প্রথম জপ করলেন। পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, এর আগে আরজেডি সভাপতি নিজে এমন পুজো করেছেন। ১৯৯৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরে গিয়ে বগলামুখি জপ করেন লালু প্রসাদ। প্রায় ৪০ দিন ধরে সেই জপ চলেছিল। নির্বাচন জেতার পরে লালু প্রসাদ হেলিকপ্টার চেপে মন্দিরে গিয়ে পূর্ণাহুতি দিয়েছিলেন। মন্দিরে কয়েক লক্ষ টাকা বিতরণ করেছিলেন। পুরোহিতরা লালু প্রসাদের খুব প্রশংসা করেছিলেন। তাঁকে ‘সত্যিকারের রাজা’ বলে সংবাদমাধ্যমে বয়ান দেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রাজা পাণ্ডা। তাঁকে পটনায় ডেকে সে সময়ে দেড় লক্ষ টাকা দক্ষিণা দেন লালু। পণ্ডিতের কথায় বাড়ির উত্তর দিকের সুইমিং পুল বুজিয়েও দিয়েছিলেন লালু প্রসাদ।

অন্য বিষয়গুলি:

Tej Pratap Yadav তেজপ্রতাপ যাদব Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy