বিক্রম সিংহ সাইনি।—ফাইল চিত্র।
অসহিষ্ণুতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে দেশ জুড়ে। তারই মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতা বিক্রম সিংহ সাইনি-র। তাঁর মতে, ভারতে থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করলে, সেই সব মানুষকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া উচিত। যাঁরা এ সব বলে বেড়ান, তাঁদের দেশদ্রোহী বলারও পক্ষপাতী তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের খাটাউলির এই বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘একেবারেই ব্যক্তিগত মতামত। তবে ভারতে থেকে যাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, বিপন্ন বোধ করছেন, তাঁদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া উচিত। আমাকে কোনও একটা মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হোক। কাজে করে দেখিয়ে দেব। একজনও রেহাই পাবে না।’’
তাঁর মতে, ‘‘দেশদ্রোহীদের চরম শাস্তি হওয়া উচিত। আমাদের মূল্যবোধকে সম্মান না করলে, যখন খুশি দেশ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারে ওরা। অন্য কোনও দেশে গিয়ে থাকতে পারে। কেউ বাধা দেবে না। দেশভক্তি নেই যখন, তখন এ দেশে থেকেই বা লাভ কী? বরং যেখানে গেলে নিরাপত্তা পাবে, সেখানে চলে যাওয়া উচিত।’’
#WATCH Vikram Saini, BJP MLA from Muzaffarnagar says 'My personal view is that those who say they feel unsafe and threatened in India should be bombed, give me a ministry and I will bomb all such people, not even one will be spared' pic.twitter.com/E9yWNH7MBF
— ANI UP (@ANINewsUP) January 4, 2019
এই সাক্ষাত্কার ঘিরেই বিতর্ক।
আরও পড়ুন: আমেরিকাকে জবাব দিতে এ বার ‘মোয়াব’ বোমা বানাল চিন
আরও পড়ুন: পিঠে কিল-চড়, যন্ত্রণায় চোখে জল নিয়েও ক্যামেরা থেকে দৃষ্টি সরাননি চিত্র সাংবাদিক শাজিলা!
যদিও সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি তিনি, তবে বুলন্দশহর হত্যাকাণ্ড নিয়ে গত মাসে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন বলে জানান। তা নিয়ে বিতর্কও হয় বিস্তর। আগ বাড়িয়ে তাতে যোগ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তার পরই এই মন্তব্য বিজেপি নেতার।
তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিক বার বিতর্ক বাঁধিয়েছেন বিক্রম সাইনি। গতবছর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি সভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দু’টো করে সন্তান নিচ্ছেন হিন্দুরা। কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষ সেই নিয়ম মানছেন না। তাই দেশে জনসংখ্যায় ভারসাম্য নেই। যতদিন পর্যন্ত এই সংক্রান্ত আইন পাশ না হচ্ছে, ততদিন দু’টোর বেশি করে সন্তান নিতে শুরু করুন হিন্দুরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy