কোভিড-কষ্টে বছর ঘোরার পরে ফের দরজায় কড়া নাড়ছে বাজেট। আয়করের বোঝা কি কিছুটা হলেও কমবে? নাকি কোনও সুরাহা মিলবে না? প্রতি বছরের মতো আমজনতার মনে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এ বারও। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, আয়কর কাঠামোর বিশেষ রদবদল সম্ভবত হবে না। কিন্তু সামান্য বাড়তি কর ছাড়ের সুবিধা মিলতে পারে ৮০সি ধারায় সঞ্চয় আর স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামে। ডাকঘর এবং ব্যাঙ্ক আমানতে সুদ তলানিতে ঠেকার এই সময়ে আয়করে কিছুটা বাড়তি সুবিধার আশা করতে পারেন পেনশনভোগী বয়স্ক নাগরিকরাও।
অর্থনীতিবিদদের অনেকেরই দাবি, ২.৫ লক্ষের বদলে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়কে আয়করের আওতার বাইরে রাখা হোক। যুক্তি, তাতে সাধারণ মানুষের হাতে খরচ করার জন্য বেশি টাকা থাকবে। তার দরুন চাহিদা বাড়লে, চাঙ্গা হবে অর্থনীতি। কোভিড, লকডাউনের জেরে বহু জনের আয় কমেছে। কিছুটা সুরাহা হবে তাঁদেরও। কিন্তু সমস্যা হল, লকডাউন আর ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতিতে কেন্দ্রের রাজস্ব আদায় ধাক্কা খেয়েছে। তার উপরে আয়করে বড়সড় ছাড় দিলে, আগামী অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি সামলানো দায় হবে।
এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, আয়কর-কাঠামোয় রদবদল না-হলেও, ৮০সি ধারায় সঞ্চয়ের (পিএফ, পিপিএফ, জীবনবিমা ইত্যাদি) যে অঙ্কে কর ছাড়ের সুবিধা মেলে, তার ঊর্ধ্বসীমা ১.৫ লক্ষ থেকে বেড়ে হতে পারে ২ লক্ষ টাকা। বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনায় ঋণের ক্ষেত্রেও বাড়তি কর ছাড় মিলতে পারে। অর্থমন্ত্রীকে রাজস্ব দফতরের প্রস্তাব, অপেক্ষাকৃত কম দামের বাড়ি কেনায় উৎসাহ দিতে বাড়তি কর ছাড় দেওয়া যেতে পারে।