Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
National News

ঝাড়খণ্ডে কয়লাখনিতে ধস, মৃত ৭, আটকে বহু শ্রমিক

ঝাড়খণ্ডের লালমাটিয়ায় কয়লাখনিতে ধস নামায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৫ জনের। প্রায় ৪৫-৫০ জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে গোড্ডা জেলার ইর্স্টান কোলফিল্ডস লিমিটেড (ইসিএল)-এর একটি কয়লাখনিতে। প্রায় ২০০ ফুট নীচে কাজ করছিলেন কর্মীরা।

উদ্ধারকাজ চলছে।

উদ্ধারকাজ চলছে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:২১
Share: Save:

ঝাড়খণ্ডের লালমাটিয়ায় কয়লাখনিতে ধস নামায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৭ জনের। প্রায় ৪৫-৫০ জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে গোড্ডা জেলার ইর্স্টান কোলফিল্ডস লিমিটেড (ইসিএল)-এর একটি কয়লাখনিতে। প্রায় ২০০ ফুট নীচে কাজ করছিলেন কর্মীরা।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গোড্ডা জেলার পুলিশ আধিকারিকরা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল পৌঁছয়। শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। উদ্ধারকারীরা জানান, ৭ জন কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও কয়েক জন শ্রমিককে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে খনির ভিতরে অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন তাঁরা।

ঘটনার খবর পেয়েই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস মুখ্যসচিব ও ডিজি-কে বিষয়টির উপর নজর রাখতে নির্দেশ দেন। মুখ্যসচিব রাজবালা বর্মা অবশ্য বলেন, “৯-১০ আটকে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই মৃতদের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। আহতদের যাতে চিকিত্সায় কোনও গাফলতি না হয় সে দিকেও নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


ধসে চাপা পড়ে গিয়েছে পেলোডার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাত্ই হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে ধস। তখন খনিতে পুরোদমে কাজ চলছিল। পাশাপাশি, তাঁরা অভিযোগ করেন, কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই খনিতে কাজ চলছিল। ইসিএল একটি সংস্থাকে লালমাটিয়ার এই খনির টেন্ডার দিয়েছিল। সেই সংস্থার তত্ত্বাবধানে কাজ চলছিল। সংস্থার ডিরেক্টর সঞ্জয় সিংহের দাবি, যত লোকের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই পরিমাণ লোক খনিতে ছিল না।

আরও খবর: খনির চাল ধসে মৃত ১, জখম ৪

রাতের অন্ধকার, দুর্গম রাস্তা— সব মিলিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হতে একটু সময় লেগে যায় বলে উদ্ধারকারীরা জানান। তবে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।

গোড্ডার পুলিশ সুপার হীরালাল চৌহান বলেন, “স্থানীয় সূত্র থেকে খবর পেয়েছি খনির ভিতরে ১০-১২টি গাড়ি কাজ করছিল। তবে কতগুলো গাড়ি কাজ করছিল এবং আটকে থাকা শ্রমিকের সংখ্যা কত, সে বিষয়ে এখনও সুনিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক কাজ হচ্ছে কর্মীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপদে বের করে আনা।”

নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lalmatia Coal Mine Jharkhand Mine Collapsed
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE