পীযূস গয়াল
কোটি কোটি টাকার ঋণ খেলাপের অভিযোগের কালি এ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গায়ে। নাম জড়ানো রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের অপসারণ চেয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। তাঁদের অভিযোগ, তিনি মন্ত্রী ও শাসক দলের প্রভাবশালী মন্ত্রী হওয়ায় তাঁর একটি সংস্থার কোটি কোটি টাকার ঋণ মকুবও করে দিয়েছে সরকার। গয়াল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০০৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১০ সালের জুলাই অবধি শিরডি ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সংস্থার চেয়ারম্যান এবং কর্তা ছিলেন পীযূষ। সেই সময় ওই সংস্থা কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাছ থেকে প্রায় ২৫৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল, যা সুদে আসলে ৬৫১.৮৭ টাকায় দাঁড়ায়। সংস্থাটি সেই ঋণ আর শোধ করেনি। অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর সেই বকেয়া ঋণের ৬৫%-ই মকুব করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।
পীযূষ গয়াল এক জন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট। ২০০৮-এর ২৫ এপ্রিল তিনি শিরডি ইন্ডাস্ট্রিজের সর্ব ক্ষণের ডিরেক্টর হিসাবে যোগ দেন। ২০০৯-এর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পদে ছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেও ২০১০-এর ১ জুলাই পর্যন্ত পীযূষ নন-এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে শিরডি-তে ছিলেন। মন্ত্রী বিবৃতিতে দাবি করেছেন, তিনি পদে থাকাকালীন সংস্থাটি কোনও নতুন ঋণ ব্যাঙ্ক থেকে নেয়নি। আগে নেওয়া ১৮১.৮২ কোটি টাকার ঋণ সেই সময়ে বেড়ে ২৫৮.৬২ কোটিতে পৌঁছয়। সুতরাং তাঁর প্রভাব কাজে লাগিয়ে সংস্থাটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছে, এই অভিযোগ ঠিক নয়।
গয়ালের দাবি, ২০১০-এর পরে তিনি ওই সংস্থাটির সব পদ ছেড়ে দেন। তার পরে আর তাঁর সঙ্গে ওই সংস্থাটির কোনও সম্পর্ক নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, কংগ্রেস তাঁর ‘ভাবমূর্তি’-তে কালি ছেটাতে অপপ্রচারে নেমেছে। এ বিষয়ে তারা বিচার ব্যবস্থাকেও টেনে আনছে।
কংগ্রেস অবশ্য বলছে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন গয়াল। শিরডি-র ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ গয়াল মেনে নিয়েছেন। তিনি দোষী কি না, আদালত বিচার করবে। তার আগে মন্ত্রিসভা থেকে সরুন গয়াল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy