Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Remdesivir

রবিনহুড হচ্ছেন? বেআইনি ভাবে রেমডেসিভির মজুত করায় বিজে‌পি সাংসদকে ভর্ৎসনা আদালতের

চার্টার্ড বিমান থেকে বাক্স বাক্স রেমডিসিভির নামিয়ে গাড়িতে তোলার ভিডিয়ো নিজেই পোস্ট করেছিলেন বিজেপি সাংসদ।

বাক্সভর্তি রেমডেসিভির নিয়ে সুজয়।

বাক্সভর্তি রেমডেসিভির নিয়ে সুজয়। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২১ ১২:০৩
Share: Save:

গৌতম গম্ভীরের পর এ বার সুজয় ভিখে পাটিল। ফের এক বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন মজুত করে রাখার অভিযোগ উঠল। তা নিয়ে মহারাষ্ট্রের এই সাংসদকে তীব্র ভর্ৎসনা করল বম্বে হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, ‘‘এটা রবিনহুড হওয়ার সময় নয়। আক্রান্তের মধ্যে সমান ভাবে ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন বণ্টন হওয়া উচিত।’’

নিজের কেন্দ্রের মানুষের মধ্যে বিলি করার জন্য আহমেদনগরের সাংসদ সুজয় বিপুল পরিমাণ রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন মজুত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে রেমডেসিভিরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেআইনি ভাবে রেমডেসিভির মজুত করে রাখার জন্য সুজয়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।

বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি শুরু হলে সুজয়কে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুগে এবং বিইউ দেবদ্বারের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত বলে, ‘‘এটা রবিনহুড হওয়ার সময় নয়, যেখানে এক শ্রেণির মানুষের কাছ থেকে চুরি করে অন্যদের মধ্যে বিলি করবেন। সব রোগীদের মধ্যে সমান ভাবে রেমডেসিভির বণ্টন হওয়া উচিত। সেখানে বেআইনি ভাবে সেগুলি মজুত করে রেখেছেন আপনি।’’

মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ভাইরাল প্রতিরোধী রেমডেসিভির ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি চার্টার্ড বিমানে বাক্স বাক্স রেমডেসিভির নিয়ে নিজের অফিসে মজুত করেন সুজয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে নেটমাধ্যমে নিজেই সেই ছবি এবং ভিডিয়ো আপলোড করেন। তাতে দেখা যায়, আহমেদনগরের শিরডি বিমান বন্দরে সেগুলি গাড়িতে তুলছেন তিনি। সেই নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধলে জেলাশাসক যদিও সুজয়কে ক্লিনচিট দেন।

কিন্তু বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ১০ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ওই বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে আদালত। চার্টার্ড বিমানটির ওঠানামা নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে প্রধান সচিবের কাছে। জেলাশাসকের মদত ছাড়া যে এই কাজ সম্ভব হয়নি, তা-ও স্পষ্ট করে দেয় আদালত। দুই বিতারপতি বলেন, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে যে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। জেলাশাসক এ নিয়ে ক্লিনচিট দেওয়ার কে? অবিলম্বে আহমেদনগর থেকে সরাতে হবে ওঁকে। জনগণের সেবা করা ওঁর কাজ নাকি শুধু এক জন সাংসদের? আমরা জানতে চাই, উনি এত রেমডেসিভির পেলেন কোথায়?’’ শুধু তাই নয় বিজেপি সাংসদকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করে আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE