Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Corona

এসইউভি বেচে করোনা রোগীদের বিনা পয়সায় অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছেন ইনি

মুম্বইয়ের মালাডের মালভানির বাসিন্দা শাহনাজ একটি অসরকারি সংস্থা চালান।

অক্সিজেন মজুত করে রাখছেন শাহনাজ। ছবি: সংগৃহীত।

অক্সিজেন মজুত করে রাখছেন শাহনাজ। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২১ ১৬:৩৫
Share: Save:

নিজের বিলাসবহুল গাড়ি বেচে দিয়েছেন। সেই টাকায় নিখরচায় মুমূর্ষু রোগীদের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছেন এই ব্যক্তি।
নাম শাহনাজ শেখ। মুম্বইয়ের মালাডের মালভানির বাসিন্দা শাহনাজ একটি অসরকারি সংস্থা চালান। দেশে করোনা আছড়ে পড়া থেকেই তাঁর সংস্থা করোনা সংক্রমিতদের জন্য কাজ করে চলেছে। কিন্তু এক বছর আগে একটি ঘটনা তাঁকে বাকরুদ্ধ করেছিল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁর এক পরিচিত। ঠিক সময়ে অক্সিজেন পেলে হয়তো এই করুণ পরিণতি হতো না।
এই ঘটনার পরই শাহনাজ স্থির করে ফেলেছিলেন অক্সিজেন এবং জীবনদায়ী ওষুধের ঘাটতি কোনওভাবেই হতে দেবেন না তিনি। টাকার অভাবে আর কোনও মৃত্যু হতে দেবেন না। তাঁর সংস্থায় সে জন্য প্রচুর পরিমাণ অক্সিজেন মজুত করতে শুরু করেন। অক্সিজেন কিনতে যাতে অর্থের অভাব না হয় তার জন্য এগিয়ে আসেন শাহনাজ নিজেই। ২২ লাখ টাকায় কেনা নিজের এসইউভি গাড়িটি বেচে দেন। পুরো টাকা কাজে লাগান করোনা রোগীদের সেবায়। গত বছরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। যার পর নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকেন শাহনাজ। মুম্বইয়ের মালভানির গলির শাহনাজ মহৎ কাজের জন্য রীতিমতো নায়কের মর্যাদা পেতে থাকেন নেটমাধ্যমে।
যদিও নেটমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে যে মাতামাতি শুরু হয়েছে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত হতে নারাজ শাহনাজ। তাঁর একটাই কথা,‘‘গাড়ি কেনার সুযোগ আবারও আসবে, এই মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই বেশি জরুরি।’’ দেশ জুড়েই এখন প্রতিষেধকের ঘাটতির খবর শোনা যাচ্ছে। যা টের পাচ্ছেন শাহনাজও। আগে যেখানে তাঁর কাছে রোজ ৫০টি ফোন আসত অক্সিজেনের জন্য, এখন তা বেড়ে হয়েছে অন্তত ৫০০টি। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫ হাজার জনের কাছে বিনা পয়সার অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mumbai Corona
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE