ইরম শর্মিলা চানুকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। পূর্ব ইম্ফলের জেলা ও দায়রা বিচারক এ গুণেশ্বর শর্মা আজ জানান, আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ নেই। চানু আত্মহত্যার জন্য অনশন করছেন না। তিনি রাজনৈতিক আন্দোলন চালাচ্ছেন। অন্য কোনও মামলায় প্রয়োজন না-থাকলে, তাঁকে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। আদালত আরও জানায়, দাবি পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত চানু অনশন চালাতে চাইলে, রাজ্য সরকারকেই তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে। এই রায়কে নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছেন চানু ও তাঁর সঙ্গীরা।
সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২০০০ সাল থেকে অনশন করছেন চানু। পূর্ব ইম্ফলের সিজেএম নতুনেশ্বরী দেবী, চানুর বিরুদ্ধে গত ৪ জুন আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগে চার্জ গঠন করেছিলেন। জেলা আদালতে তা খারিজ হওয়ায় মণিপুর সরকার এ বার হাইকোর্টে যেতে পারে। এ দিনের রায়ের প্রতিলিপি পাওয়ার পরে তারা পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাববে।
চানুর আন্দোলনের সহযোগী ও মণিপুরের একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রধান বাবলু লোইতংবাম এ দিন বলেন, “এই প্রথম দেশের বিচার ব্যবস্থা শর্মিলার আন্দোলনকে রাজনৈতিক কর্মসূচির স্বীকৃতি দিল। মণিপুর সরকার হাইকোর্টে যেতে পারে। আশা করি নিম্ন আদালতের রায়ই সেখানে বহাল থাকবে।” আইনজীবীদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, সহজে মুক্তি পাবেন না তিনি। কারণ, এ বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়ার অধিকার রয়েছে পূর্ব ইম্ফলের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের।
দিল্লির যন্তরমন্তরে অনশন চালানোর জেরে পাতিয়ালা হাউস আদালতেও চানুর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। গত বছর ওই আদালতের বিচারক চানুকে অনশন তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। চানু জানান, অহিংস আন্দোলন হিসেবেই অনশন চালিয়ে যাবেন। শর্মিলার আইনজীবী খাইদেম মণি বারবারই আদালতে বলেছেন, তাঁর মক্কেল আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন না। এটি তাঁর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ। সরকার সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহার করলেই তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy