প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে পোষা গরুকে পুজো করে তার গলায় সোনার হার, ফুলের মালা পরিয়েছিলেন মালিক। সেই হারই খাবার ভেবে গিলে ফেলেছিল গরুটি। শেষমেশ অস্ত্রোপচার করিয়ে পাকস্থলী থেকে সোনার চেন উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি কর্নাটকের উত্তর কন্নড় জেলার হেপানাহাল্লির।
জানা গিয়েছে, দিওয়ালির দিন বাড়িতে গো-পুজোর আয়োজন করেন শ্রীকান্ত হেগড়ে। বাড়িতে পোষা গরুকে ফুলের মালা, ২০ গ্রাম ওজনের সোনার হার পরিয়ে পুজো করেন পরিবারের সদস্যরা। পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফুলের মালা এবং সোনার হারটি গরুর পাশেই রেখে দেন শ্রীকান্ত। সবাই যখন পুজোর কাজে ব্যস্ত তার মধ্যেই গরুটি পাশে রাখা ফুলের মালার সঙ্গে সোনার হারটিও খেয়ে নেয়।
বেশ কিছু সময় পর যখন হারটি নিতে যান শ্রীকান্ত, দেখেন গরুর পাশ থেকে সেটি উধাও হয়ে গিয়েছে। খবরটি চাউর হতেই হেগড়ে বাড়িতে হুলস্থুল পড়ে যায়। সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও যখন হার পাওয়া যায়নি, সকলের সন্দেহ হয় গরুর উপর। ফুলের মালার সঙ্গে রাখা সোনার হার যে তাঁদের পোষ্যই খেয়ে নিয়েছে একপ্রকার নিশ্চিত হন শ্রীকান্ত।
অতএব অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় ছিল না। শ্রীকান্তরা ভেবেছিলেন গরুর মলের সঙ্গেই চেন হয়ত বেরিয়ে আসবে। এক দিন, দু’দিন, তিন দিন…এ ভাবে এক সপ্তাহ, দু’সপ্তাহ কেটে গিয়ে যখন এক মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে, আর ধৈর্য রাখতে না পেরে শ্রীকান্ত খবর দেন পশু চিকিৎসককে। গরুর পেটে স্ক্যান করে হারের অবস্থান চিহ্নিত করেন চিকিৎসক। তার পর অস্ত্রোপচার করে সেই হার বার করা হয়। কিন্তু এই এক মাসে পাকস্থলীতে থেকে ২ গ্রাম ক্ষয়ে গিয়েছিল হারটি। অর্থাৎ ছিল ২০ গ্রাম, চেনটি যখন উদ্ধার হয় তখন তার ওজন হয়েছিল ১৮ গ্রাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy