বিচারপতি নিয়োগে শেষ কথা বলার অধিকার কার কাছে থাকবে, তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের টানাপড়েন চলছে। তার মধ্যেই প্রাক্তন বিচারপতি সি এস কারনানের প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও নজরদারি, আরও কড়া বাছাইয়ের পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট কোনও বিচারপতি সম্পর্কে কিছু বলছি না। কিন্তু এতে স্পষ্ট, বিচারপতি নিয়োগে আরও কড়া বাছাই প্রক্রিয়া, কড়া নজরদারির প্রয়োজন।’’ কারনানকে সুপ্রিম কোর্ট কারাদণ্ড দেওয়ার সময়েই ঘরোয়া আলোচনায় মোদী সরকারের শীর্ষ কর্তারা দাবি করেন, কলেজিয়াম প্রথায় নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই ঘটনা। আইনমন্ত্রী আজ সে কথাই প্রকাশ্য মঞ্চে তুলে ধরলেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিচারপতি নিয়োগে এখনও মোদী সরকার শেষ কথা বলার অধিকার ছাড়তে নারাজ। এখন কলেজিয়ামের সুপারিশ করা নাম কেন্দ্র প্রথমে ফেরত পাঠালেও ফের সেই নাম কলেজিয়াম ফেরত পাঠাতে পারে। অর্থাৎ কলেজিয়ামই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রের যুক্তি, কারও বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকতে পারে। তাই নিরাপত্তার খাতিরে শেষ কথা বলার অধিকার কেন্দ্রেরই থাকা উচিত। কলেজিয়ামের পাল্টা দাবি, কেন্দ্রের দিক থেকে আপত্তি এলে তা খারিজ করা হবে না।
আজ আইনমন্ত্রী বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া বা ‘মেমোরেন্ডাম অব প্রসিডিওর’ নিয়ে এক বছর টানাপড়েন চলছে ঠিকই। কিন্তু অনেক বিষয়ে সম্মতিও তৈরি হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়াও থমকে নেই। গত তিন বছরে ১৭ জন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২৩২ জন নিযুক্ত হন হাইকোর্টের বিচারপতি পদে। শুধু ২০১৬ সালেই ১২৬ জনকে বিচারপতি পদে নিয়োগ হয়েছে। মুকুল রোহতগির জায়গায় কেন্দ্রের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগের বিষয়েও যথাসময়ে শীর্ষ স্তরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy