দিল্লি হাইকোর্ট।
বউমাকে কোন গোত্রে ফেলা হবে, ‘শিশু’ নাকি ‘আত্মীয়’, তা নিয়ে আপাতত কিছুটা ধন্ধে রয়েছে আদালত।
শ্বশুরবাড়িতে বউমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এক শাশুড়ি তাঁর পুত্রবধূকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন আদালতে। ২০০৭ সালের মা, বাবা ও প্রবীণ নাগরিকদের ভরণপোষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ আইন মোতাবেক আদালত ওই পুত্রবধূকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন করেন ওই পুত্রবধূ। চলতি সপ্তাহের গোড়ায়, বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবের এজলাসে। বিচারপতি সচদেব ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন পরবর্তী শুনানির দিন (৩১ জুলাই) পর্যন্ত। তলব করেছেন ওই মহিলার স্বামী ও শাশুড়িকেও। তাঁদের বক্তব্য শোনার জন্য।
আরও পড়ুন- চিনা ধনকুবেরদের বিনিয়োগের টোপ ট্রাম্পের জামাই-পরিবারের
আদালতের ধন্ধ এখানেই যে, পুত্রবধূকে কোন গোত্রে ফেলা হবে, ‘শিশু’ নাকি ‘আত্মীয়’, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা নেই মা, বাবা ও প্রবীণ নাগরিকদের ভরণপোষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ আইনে। ‘শিশু’ বা ‘আত্মীয়’ হলে ওই আইন মোতাবেক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে বাড়ি থেকে বের করে দিতেই পারেন ওই মহিলার শাশুড়ি। কিন্তু পুত্রবধূকে কোন গোত্রে ফেলা যাবে, ‘শিশু’ নাকি ‘আত্মীয়’, তা নিয়ে ওই আইনে স্পষ্ট ভাবে কোনও উল্লেখ নেই। ওই মহিলা স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে গার্হ্যস্থ নির্যাতনের মামলা দাযের করেছেন দিল্লি হাইকোর্টে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy