বেঙ্গালুরুর পর এ বার চেন্নাই।
বিজেপির রক্তচাপ বাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পিনারাই বিজয়ন, অরবিন্দ কেজরীবাল থেকে চন্দ্রবাবু নায়ডুরা এ বার ডিএমকে-র ডাকে ৩০ অগস্ট এক মঞ্চে হাজির হচ্ছেন চেন্নাইয়ে। কংগ্রেসের তরফে সনিয়া বা রাহুল গাঁধীও ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এবং রাজ্যের জন্য আরও বেশি ক্ষমতার দাবিতে আগামী ৩০ অগস্ট ‘রাজ্য স্বশাসন সম্মেলন’-এর ডাক দিয়েছেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন। বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলের মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সিপিএম ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতাদেরও। করুণানিধি-কন্যা কানিমোঝি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে সমস্ত দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিজেপির সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চললেও তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ওই অনুষ্ঠানে থাকছেন।
কর্নাটকে এইচ ডি কুমারাস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ঠিক এই রকমই বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। কর্নাটকে বিজেপির ক্ষমতা দখল আটকে দিয়ে কার্যত ২০১৯-এ নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এককাট্টা হাওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন সকলে। একই লক্ষ্যে ২০১৯-এর ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের জনসভায় সব বিজেপি-বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা। তার আগে স্ট্যালিনও বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে শুরু করেছেন।
স্ট্যালিন-কানিমোঝির এই বিরোধী জোটের উদ্যোগের মধ্যেই অবশ্য নরেন্দ্র মোদী আজ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তাঁদের ফোন করে অসুস্থ করুণানিধির শরীরের খোঁজখবর নিয়েছেন। তাঁর আরোগ্য কামনা করে টুইটও করেছেন। তবে এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক মানছেন না ডিএমকে নেতৃত্ব। তাঁদের যুক্তি, দ্রাবিড় নেতা সি এন অন্নাদুরাই ষাটের দশকে তামিলনাড়ুর জন্য আরও স্বশাসনের দাবিতে সম্মেলন ডেকেছিলেন। ২০১৯-এর আগে গোটা দেশের সঙ্গে তামিলনাড়ুতেও বিজেপি-বিরোধী হাওয়া তুলতে স্ট্যালিন সেই পথেই হাঁটছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy