প্রতীকী চিত্র।
করোনা রোগীদের পরামর্শ দিলেন এমস প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া। দ্রুত সেরে উঠতে তাঁর দু’টি সাবধানবাণী—প্রথমত, বাড়িতে ইচ্ছে মতো রেমেডেসিভির প্রয়োগ করবেন না। দ্বিতীয়ত, উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর অন্তত ১০ দিন নিভৃতবাস থেকে বের হবেন না।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেই বাড়িতে থেকে রোগের চিকিৎসা করাচ্ছেন। বাড়তে থাকা সংক্রমণের আবহে হাসপাতালের শয্যা পাওয়াও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানো রোগীদের সাবধান করে এমসের অধিকর্তা রণদীপের পরামর্শ, ‘‘বিপদ বুঝলেই বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে মনে হলেই রেমডেসিভির প্রয়োগ করবেন না। হাসপাতালে সুরক্ষিত পরিকাঠামোয় থেকে পেশাদারদের পরামর্শ মেনেই রেমডেসিভিরের ইঞ্জেকশন নেওয়া উচিত।’’ বাড়িতে থেকে যাঁরা চিকিৎসা করাচ্ছেন তাঁদের এই ওষুধ প্রয়োগ করা একেবারেই উচিত হবে না জানিয়ে রণদীপ বলেন, ‘‘এই ওষুধ সাধারণত মারাত্মক উপসর্গ এবং মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীকেই দেওয়া হয়ে থাকে।’’ এমস প্রধানের কথায়, পেশাদার ছাড়া একজন রোগীর পক্ষে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।
রোগীরা কতদিন নিভৃতবাসে থাকবেন, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। শুক্রবারের বৈঠকে সেই প্রশ্নেরও জবাব দেন রণদীপ। তার পরামর্শ, ‘‘শরীরে উপসর্গ জানান দেওয়ার এবং ধারাবাহিক ভাবে তিন দিন জ্বর না থাকার পর অন্তত ১০ দিন থাকতে হবে নিভৃতবাসে।’’ রণদীপ বলেছেন, ১০ দিনের এই নিভৃতবাস শেষ হওয়ার পর আর করোনা পরীক্ষা না করলেও চলবে।
বৈঠকে শুক্রবার ‘সিস্টেমেটিক স্টেরয়েড’ নেওয়ার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলেছেন এমস প্রধান। পাশাপাশি শুক্রবার বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ২৩টি রাজ্যকে ৮ হাজার ৫৯৩ মেট্রিক টন অক্সিজেন বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যগুলিকে অক্সিজেনের ব্যবহারের হিসেব রাখতেও বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy