Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত শুরু বিহার-ঝাড়খণ্ডে

গত শুক্রবার বিহারের জহানাবাদের রুস্তমপুরে শর্মার পৈত্রিক বাড়ির একটি ঘর বাদে সমস্ত সম্পত্তি দখলে নিয়েছে ইডি। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৬টি প্লট। ইডি-র আধিকারিকদের দাবি, পৈত্রিক বাড়ি ছাড়াও শর্মার বিভিন্ন সম্পত্তি রয়েছে শহরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৩৫
Share: Save:

বিহার-ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী নেতাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করল ইডি। বিহার-ঝাড়খণ্ডের স্পেশ্যাল এরিয়া কমিটির কম্যান্ডার প্রদ্যুম্ন শর্মার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বিহার পুলিশ ১০০ জন দাগি অপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য ইডি-র সাহায্য নিচ্ছে। সেই প্রক্রিয়াতেই মাওবাদী নেতা শর্মার সম্পত্তি ক্রোক করা হল বলে জানা গিয়েছে। বিহার ও ঝাড়খণ্ডে ৫১টি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অভিযোগ, সাধারণ মানুষের আন্দোলনের নামে তিনি জহানাবাদ, নওয়াদা, নালন্দা এবং গয়া এলাকায় বিল্ডার, ঠিকাদার ও প্রমোটারদের থেকে কোটি কোটি টাকা তোলা আদায় করেছেন।

গত শুক্রবার বিহারের জহানাবাদের রুস্তমপুরে শর্মার পৈত্রিক বাড়ির একটি ঘর বাদে সমস্ত সম্পত্তি দখলে নিয়েছে ইডি। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৬টি প্লট। ইডি-র আধিকারিকদের দাবি, পৈত্রিক বাড়ি ছাড়াও শর্মার বিভিন্ন সম্পত্তি রয়েছে শহরে। তার তালিকার ভিত্তিতে বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলবে। আগে এক বার শর্মার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অভিযানে গিয়েছিল ইডি। আদালতের নির্দেশে তা রদ হয়ে যায়।

বিহার এসটিএফ অরঙ্গাবাদ জেলার রফিগঞ্জ থেকে মাওবাদী নেতা মহেশ যাদবকে গ্রেফতার করেছে শুক্রবার। অভিযোগ, ‘লেভি’ আদায়ে চাপ দিতে মাওবাদীরা নওয়াদা জেলার সিদরলায় নির্মীয়মাণ রেল স্টেশনে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। মারধর করা হয় মজুর এবং স্থানীয় ঠিকাদারকে। এ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিল মহেশ। এসটিএফ তাকে নওয়াদা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ২০১৬-র ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ৬৩ জনের মধ্যে ১৭ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন জন সংঘর্ষে মারা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Maoist Jharkhand Enforcement Directorate ED
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE