সেনা জওয়ানদের গুলিতে জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর যা ঘটেছিল, অনেকটা যেন তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল শনিবার, কাশ্মীরে।
জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলিযুদ্ধের দু’টি ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের অন্যতম সাবজার আহমেদ ওরফে আবু জারার ছিলেন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনে বুরহান ওয়ানির উত্তরসূরি। ওই ঘটনার পরেই ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে উপত্যকা। নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে জনতা ছুড়তে শুরু করেন ইট, পাথর। দক্ষিণ কাশ্মীরের অন্তত ১০টি জায়গায়। তাতে মাথায় গুরুতর চোট পান সিআরপিএফের এক কমান্ডান্ট। সোশ্যাল মিডিয়া, হোয়াটসঅ্যাপেও শুরু হয়ে যায় নিহত জঙ্গি সবজার আহমেদের সমর্থনে একের পর এক পোস্ট। যার জেরে গোটা উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা আবার বন্ধ করে দেয় জম্মু-কাশ্মীর সরকার। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ সহ ২২টি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল মেহবুবা মুফতি সরকার। ১২ ঘণ্টা আগেই সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছিল।
পুলওয়ামা জেলার ত্রাল সেক্টরে সেনা জওয়ানদের গুলিতে মারা গিয়েছে দুই জঙ্গি। নিহতেদের অন্যতম সবজার আহমেদ। তাঁরা একটি বাড়িতে লুকিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাঁরা হামলা চালিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ানদের ওপর। অন্য দিকে, বরামুল্লা জেলার রামপুর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গিরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে তাদের হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাতে ৮ জঙ্গির মৃত্যু হয়।