তাঁকে দেখতে নাকি ‘মুসলিম’দের মতো। আর সে কারণে এক বৃদ্ধকে মেট্রোর আসনে বসতেই দিলেন না দুই যুবক।
ট্রেনে উঠে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত সিটে বসতে চেয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। কিন্তু তাঁকে ওই ধরনের আক্রমণের শিকার হতে হয়। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়।
ঘটনাটা ঠিক কী?
গত সপ্তাহে মেট্রোতে উঠে ওই বৃদ্ধ প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত সিটে বসতে যান। দেখেন সেই সিটে এক যুবক বসে আছেন। সঙ্গে তাঁর বন্ধুও ছিলেন। বৃদ্ধ ওই যুবককে সিট ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর না দিয়ে চুপ করেই সিটে বসে থাকেন। বৃদ্ধ ফের যুবককে উঠে যেতে বললে তাঁকে ওই যুবক ‘পাকিস্তানি’ বলে অপমান করেন। অভিযোগ, ওই যুবক ও তাঁর সঙ্গী বৃদ্ধকে বলেন, “কেন উঠব? এই সিট হিন্দুস্তানিদের জন্য, পাকিস্তানিদের জন্য নয়!” যুবকদের এই মন্তব্যে অন্য যাত্রীরা অবাক হয়ে যান।
আরও পড়ুন: অটলের পথে ফিরুন, মোদীকে বার্তা মুফতির
কেন ওই বৃদ্ধকে পাকিস্তানী বলা হল? ওই যুবকদের দাবি, তাঁর মুখে দাড়ি থাকলেও কোনও গোঁফ ছিল না। কাজেই তাঁরা ওই বৃদ্ধকে মুসলমান হিসাবে চিহ্নিত করে অমন মন্তব্য করেন। ওই ট্রেনেই ছিলেন অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব ট্রেড ইউনিয়ন-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক সন্তোষ রায়। যুবকদের সঙ্গে ওই বৃদ্ধের যখন আসন নিয়ে বচসা চলছে, এগিয়ে আসেন সন্তোষবাবু। ওই দুই যুবককে সিট ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতেই তাঁর কলার ধরে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁকেও বলেন, “এখানে কেন? পাকিস্তানে চলে যান!”
মেট্রোটি খান মার্কেট স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই ওই দুই যুবককে মেট্রো থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেন দেন যাত্রীরা। পান্ডারা থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ যখন ওই দুই যুবককে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন তাঁরা হুমকি দিয়ে বলেন, “আমাদের লোক আসছে!”
গোটা ঘটনাটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অস ইন্ডিয়া প্রগ্রেসিভ উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সম্পাদক কবিতা কৃষ্ণাণ। তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। যদিও পরে ওই দুই যুবক তাঁদের এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। পরে জানা যায়, ওই বৃদ্ধ যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেন।
কবিতা কৃষ্ণাণের সেই ফেসবুক পোস্ট
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy