Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সাফল্য প্রচার করেই মন জিততে চান মোদী

বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে দলিত ও বয়স্কদের আস্থা অর্জনে। মোদী সরকারের চার বছরে গোটা দেশেই দলিতদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বহু গুণ বেড়েছে। দল যে ওই অংশের সমর্থন দ্রুত হারাচ্ছে, তা বুঝতে পারছেন অমিত শাহ।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৮ ০২:৩০
Share: Save:

এক দিকে কর্নাটকে দলের মুখ পোড়া এবং সম্মিলিত বিরোধী জোটের হুঙ্কার। অন্য দিকে জনমানসে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ। এই দ্বিমুখী চাপের মুখে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরে প্রচারে নেমে পরিস্থিতির মোড় ঘোরাতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব।

আগামী শনিবার মোদী সরকারের চার বছর পূর্তি। তার আগে অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদীরা বুঝতে পারছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিজেপির পক্ষে অনুকূল নয়। গোরক্ষপুর-ফুলপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হারের পরে কৈরানায় আসন্ন উপনির্বাচনে ফের হারের আশঙ্কা, কর্নাটকে সরকার গঠনে ব্যর্থতা, রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ— লোকসভা ভোটের এক বছর আগে এমন একাধিক ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন, দলের জনসমর্থনে টান পড়ছে। কর্নাটকে বিরোধী ঐক্যের ছবি অস্বস্তি বাড়িয়েছে। আপাতত তাই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানকেই হাতিয়ার করছেন অমিত শাহ। পথে নামতে নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় নেতানেত্রীদেরও।

বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি জানিয়ে সদর দফতর থেকে দেশের প্রতিটি রাজ্যে দলীয় সভাপতি এবং মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফল যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রচারে নামতে। এই পরিকল্পনাটি নিয়ে তৎপর প্রধানমন্ত্রীও। সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে ওড়িশা সফরে যাচ্ছেন মোদী। সেখানে গিয়ে ১৫টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফলপ্রাপকদের সরাসরি কথা বলবেন তিনি। নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও। যাঁরা আগামী কুড়ি দিন ধরে দেশের অন্তত ৪০টি বড় শহরে সরকারের কাজের সাফল্য প্রচার করবেন।

বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে দলিত ও বয়স্কদের আস্থা অর্জনে। মোদী সরকারের চার বছরে গোটা দেশেই দলিতদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বহু গুণ বেড়েছে। দল যে ওই অংশের সমর্থন দ্রুত হারাচ্ছে, তা বুঝতে পারছেন অমিত শাহ। তাই প্রতিটি রাজ্যের বিজেপি সভাপতিদের দলিত অধ্যুষিত এলাকায় পাঠাচ্ছে দল। বয়স্কদের আস্থা অর্জনেরও চেষ্টা চলছে। কিন্তু মোদী সরকারের চার বছরে যে ভাবে নিত্য পণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি সঞ্চয় প্রকল্পে সুদ কমেছে, তাতে ওই শ্রেণির সমর্থন কতটা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় দলের অন্দরেই।

পাল্টা আসরে নেমেছে কংগ্রেসও। কুড়ি দিনের প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, জনতার করের টাকা উড়িয়ে প্রচার উৎসব সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাকতা। আগামী শনিবারকে ‘বিশ্বাসঘাতক দিবস’ হিসেবে পালন করবে তারা। আজ দলের নেতা অশোক গহলৌত বলেন, ‘‘টাকা দিয়ে জনতার ভরসা জেতা যায় না। টাকা না খরচ করে পেট্রোপণ্যের দাম কমাক সরকার। তাতেই জনতার উপকার হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE