‘মোদী’ অবমাননা মামলায় রাহুলকে আপাতত ছাড় দিল না গুজরাত হাই কোর্ট। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গুজরাত হাই কোর্টের রায়ে লোকসভার সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার আশায় আপাতত ইতি হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। সেই সঙ্গে রয়ে গেল জেলে যাওয়ার সম্ভাবনাও। গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং সুরাত দায়রা আদালত রাহুলকে ‘অপরাধমূলক মানহানির’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের জেলের যে রায় দিয়েছিল তার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আর্জি মঙ্গলবার খারিজ করেছেন গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক।
বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী গরমের ছুটি শেষ হলে এই মামলার চূড়ান্ত রায়দান করবেন তিনি। গুজরাতে হাই কোর্টের এই নির্দেশের ফলে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল। সংশয় তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েও। তবে চূড়ান্ত রায়দান পর্যন্ত স্থগিত রইল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির জেলযাত্রার সম্ভাবনা।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই ছিল ওই রায়। ওই রায়ের পরেই ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।
রাহুল তাঁকে দোষী ঘোষণা এবং সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত ২০ এপ্রিল অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা খারিজ করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সেই আবেদন। এর পরে পদবি-মন্তব্যে দোষী ঘোষণা এবং সাজা কার্যকরের জন্য সুরাত দায়রা আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মঙ্গলবার গুজরাত হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন রাহুল। আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি গীতা গোপীর এজলাসে নথিভুক্ত হয়েছিল।
কিন্তু বুধবার রাহুলের আইনজীবী পিএস চম্পানেরী সুরাত দায়রা আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাহুলের দায়ের করা আবেদনের দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতেই বিচারপতি গোপী আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকৃত হন। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে নয়।’’
বৃহস্পতিবার বিচারপতি প্রচ্ছকের এজলাসে শুনানির জন্য রাহুলের আবেদন নথিভুক্ত হয়। শনিবার শুনানির পরে বিচারপতি আবার মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। এবং রাহুলের সেই আর্জি খারিজ করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং দায়রা আদালতের রায় আপাতত বহাল রাখলেন তিনি। চূড়ান্ত রায়েও তা বহাল থাকলে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ ছাড়া ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy