গোটা বিয়ের মণ্ডপ জুড়ে অসাধারণ ফুলের সাজ। এলাহী আয়োজন। দেদার খানা-পিনার ব্যবস্থা। জমকালো পোশাকে ততক্ষণে হাজির হয়ে গিয়েছেন অতিথিরা। এক দিকে চলছে বিয়ের ভোজ, অন্য দিকে বিয়ের অনুষ্ঠান। চারদিকে খুশির আমেজ। জমে উঠেছে বিয়েবাড়ি। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। গোল বাধল ঠিক এর পরেই।
হঠাৎ এক অতিথির মাথায় এসে পড়ল রান্না করা একগাদা খাবার। কিছু বোঝার আগেই খাবার পড়ল অন্য আর একজনের গায়েও। নিমেষের মধ্যে অতিথিদের তাক করে এদিক ওদিক থেকে উড়ে আসতে শুরু করল নিমন্ত্রিতদের জন্য রাখা বিভিন্ন খাবার। ততক্ষণে হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে বিবাহ আসর জুড়ে। অতিথিদের দামি পোশাক খাবারে মাখামাখি হয়ে বিচ্ছিরি অবস্থা। রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে মণ্ডপ ছাড়তে শুরু করেছেন অতিথিরা। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা ঘটালো কে? খোঁজ করতেই দেখা গেল পাত্রের বন্ধুরাই রয়েছেন এই কুকীর্তির পিছনে। তাঁদের থামতে বার বার কাকুতি মিনতি করা হলেও লাভের লাভ হয়নি কিছুই। বন্ধুর বিয়েতে নিছক মজার স্বাদ কোনও ভাবেই হাতছাড়া হতে দেবেন না তাঁরা। বারণ সত্ত্বেও নিজেদের মধ্যেই খাবার ছোড়াছুড়িতে বুঁদ হয়ে রইলেন বরের বন্ধুরা। চোখের সামনে নিমন্ত্রিত অতিথিদের অপমান সহ্য করতে পারেননি কনে। নিয়ে নিলেন চরম সিদ্ধান্ত। সেখানে দাঁড়িয়েই বিয়ে ভেঙে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১০ বাড়ি কাজ করেই ফার্স্ট ক্লাস পেল আফসান
গত বুধবার বিহারের রোহতাস জেলার মঞ্ঝিয়াবন গ্রামে এমনই ঘটনা ঘটেছে। পুণে নিবাসী সুভাষ শর্মার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল গুজরাতের এক ফ্যাশন ডিজাইনারের। বিয়ের দিন রাতে নিমন্ত্রিত অতিথিদের পোশাক নষ্ট হওয়া তাঁর মনে হয়েছিল চরম অপমানের সমান।
বিয়েতে আমন্ত্রিত দারিহাট থানার পুলিশ ইনচার্জ সিয়ারাম সিং জানান, বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও পাত্রের বন্ধুরা থামতে চাননি। পাত্রী তাঁর হবু স্বামীকে গোটা ঘটনাটি জানালে, তার উত্তর ছিল, ‘‘আমি তোমায় ছাড়তে পারি। কিন্তু বন্ধুদের ছাড়তে পারব না।” এরপরই বিয়ে ভেঙে দেন পাত্রী। কনের বাবার অভিযোগ , “পাত্র পক্ষের বাড়ির লোকজন এবং বন্ধুরা অত্যন্ত নির্বোধ। তাঁরা আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন।” এই ঘটনার পর পাত্রের বাড়ির লোকজন তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে সমস্যার সমাধান হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy