খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে ৮০ হাজার পুলিশ থাকা সত্ত্বেও পালিয়ে গেলেন খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ? তা হলে কী করছিল পুলিশ? খালিস্তানি নেতার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশকে এ ভাবেই ভর্ৎসনা করল পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট।
‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’-র নেতা অমৃতপাল পলাতক। তাঁর খোঁজে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালাচ্ছে পঞ্জাব পুলিশ। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও খালিস্তানি নেতা কী ভাবে সেই বেড়াজাল ভেঙে পালালেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। শুধু তাই-ই নয়, এটা যে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা সে কথাও উল্লেখ করেছে আদালত। অমৃতপালকে গ্রেফতারির বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, এই অপারেশন কত দূর এগিয়েছে যাবতীয় তথ্যও রাজ্যের কাছে চেয়েছে আদালত।
পঞ্জাব পুলিশ বুধবার আদালতে জানিয়েছে যে, অমৃতপালকে গ্রেফতারের জন্য শনিবার থেকেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর ১২০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশ আদালতে আরও জানিয়েছে যে, অমৃতপালের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের এই দাবি শুনে আদালত পাল্টা প্রশ্ন করে, অমৃতসরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ছিল। কিন্তু তার পরেও সেই নিরাপত্তার বাধা টপকে কী ভাবে পালালেন খলিস্তানি নেতা?
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগ এবং আত্মঘাতী বাহিনী তৈরির করার মতো অভিযোগ উঠেছে অমৃতপালের বিরুদ্ধে। গ্রেফতারের প্রস্তুতি নিতেই সতর্ক হয়ে যান এই খালিস্তানি নেতা। শুধু তাই-ই নয়, শনিবার জালন্ধরে তাঁর গাড়ির কনভয়কে আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ, তাদের চোখে ধুলো দিয়ে মোটরবাইকে চেপে বেপাত্তা হয়ে যান। গত কয়েক বছর ধরেই পঞ্জাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন অমৃতপাল। সমর্থকদের কাছে তিন ‘ভিন্দ্রানওয়ালে ২.০’ নামে পরিচিত। মাসখানেক আগেই অজনালায় থানায় হামলা চালিয়ে তাঁর সঙ্গীদের উদ্ধার করে নিয়ে যান অমৃতপাল। সেই ঘটনায় ৬ পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy