গ্রেফতারির পরে কেটে গিয়েছে ১০ দিন। মা-র মন নিশ্চয়ই ছটফট করছে চিন্তায়। তিহাড় জেল থেকে তাই মা-কে বার্তা পাঠালেন কানহাইয়া কুমার। জানালেন, ‘‘একদম ঠিক আছি। মা যেন চিন্তা না করে।’’
তিহাড় জেলে বন্দি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্রনেতার সঙ্গে আজ দেখা করেন তাঁর দাদা মণিকান্ত ও পরিবারের অন্য সদস্যেরা। মণিকান্ত বলেন, ‘‘পাটিয়ালা হাউস কোর্টের ঘটনার পরে মা খুব চিন্তা করছিল। ও মাকে চিন্তা করতে বারণ করেছে। মা-ও ওকে বলে দিতে বলেছিল, আমরা সবাই ওর সঙ্গে আছি। বাইরের চেয়ে বরং জেলেই কানহাইয়া বেশি সুরক্ষিত।’’
জেলে বসে নিয়মিত ডায়েরি লিখছেন কানহাইয়া। জেলের লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়াশোনাও করছেন। খবরের কাগজও খুঁটিয়ে পড়ে জেএনইউ ও তাঁর নিজের মামলার খোঁজখবর রাখছেন।
মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি প্রতিভা রানির এজলাসে কানহাইয়ার জামিনের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। কানহাইয়ার তরফে আর্জিতে জানানো হয়েছে, তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহের কোনও কাজ তিনি করেননি। তিনি দেশ-বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণই নেই। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, শুধু কানহাইয়ার জামিনের পক্ষেই সওয়াল করা হবে। আগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু পরে কৌশল পরিবর্তন করেন আইনজীবীরা। ১২ ফেব্রুয়ারি কানহাইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাঁকে ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। দিল্লি পুলিশের তরফে আগেই বলা হয়েছিল, কানহাইয়ার জামিনের বিরোধিতা করা হবে না।
কানহাইয়ার জেঠা রাজেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘আমাদের পরিবার স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার। অনেকে সেনা, সিআরপি-তে কাজ করছে। কানহাইয়া এমন কোনও কাজ করতে পারে না যাতে তাঁর পরিবারের দিকে আঙুল ওঠে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই তিনি গরিব মানুষকে নিয়ে চিন্তিত হলে কানহাইয়াকে নিয়ে কিছু বলছেন না কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy