এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পরমাণু হামলা চালানো যাবে। ফাইল চিত্র।
ভারতীয় সেনার মাথায় নতুন পালক। বুধবার সফলমূলক পরীক্ষা হল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি ৫-এর। রাত ৭.৫০ মিনিটে ওড়িশার এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপ করা হয়।
৫ হাজার কিলোমিটার দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের মাধ্যমে পরোক্ষে চিনের কাছে কড়া বার্তা পৌঁছল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হল, এক সঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত ভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পরমাণু হামলাও চালানো যাবে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রকে চলমান উৎক্ষেপণ যানের মাধ্যমেও উৎক্ষেপণ করা যাবে। সাড়ে ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ২ মিটার পরিধিবিশিষ্ট অগ্নি ৫-কে স্ত্রকে অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমকেও ধোকা দিতে সক্ষম। এ ছাড়া ১৫ হাজার কেজি পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রে তিন স্তরীয় রকেট বুস্টার আছে। এর গতি শব্দের চেয়ে ২৪ গুণ বেশি। সেকেন্ডে ৮.১৬ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
এত রকম আধুনিক প্রযুক্তি থাকার কারণে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে একটা অন্য মাত্রা দিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারের শক্তিকে আরও বাড়িয়ে তুলল। একই সঙ্গে চিন এবং পাকিস্তানের কাছেও একটা কড়া বার্তা পৌঁছল। দাবি করা হচ্ছে এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে পুরো এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকার কিছু অংশ।
অগ্নি ১ থেকে ৫ এই পুরো সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ডিআরডিও। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি। এখনও পর্যন্ত অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে অগ্নি ৫-এর পাল্লা সবচেয়ে বেশি। অগ্নি ১-এর পাল্লা ৭০০ কিমি, অগ্নি ২-এর ২ হাজার কিমি, অগ্নি ৩ এবং ৪-এর পাল্লা আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার কিমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy